দুধের বিকল্প হতে পারে যে খাবার

আমাদের শরীরের জন্য অত্যাবশ্যকীয় একটি খনিজ উপাদান ক্যালসিয়াম। ক্যালসিয়াম পেশী সংকোচন, স্নায়ু সংক্রমণ, রক্ত জমাট বাধতে সাহায্য করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ক্যালসিয়ামের ঘাটতিতে কেবল হাড়কেই দুর্বল করে দেয় না বয়সের সঙ্গে ফ্র্যাকচার এবং অস্টিওপরোসিসের মতো রোগের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দেয় অনেক।

দীর্ঘকাল ধরেই ক্যালসিয়াম গ্রহণের জন্য সেরা খাবার হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে দুধ। যারা দুধ পছন্দ করেনা বা যাদের দুধে অ্যালার্জি রয়েছে, তারা কী পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম থেকে বঞ্চিত হবেন। দুধ ছাড়াও ক্যালসিয়াম মিলবে আরও বেশ কিছু খাবারে।

বাদাম:- প্রতিদিন এক মুঠো বাদাম খেলেই পাবেন পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম। ৩০ গ্রাম বাদাম থেকে ক্যালসিয়াম পাওয়া যায় ৭৬ মিলিগ্রাম। বাদাম ক্যালসিয়াম ছাড়াও ভিটামিন ই, ম্যাগনেসিয়াম, ফাইবার এবং প্রোটিনে সমৃদ্ধ। বাদাম পাচনতন্ত্রের উন্নতির সাথে সাথে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়াতে পারে।

সয়া দুধ:- ল্যাকটোজ-অসহিষ্ণু লোকদের জন্য সর্বোত্তম বিকল্প হলো সয়া দুধ। যাদের দুধে অ্যালার্জি রয়েছে তারা প্রতিদিন সয়া দুধ খেতে পারেন ক্যালসিয়াম গ্রহণের জন্য। সয়া দুধ প্রোটিন এবং ফাইবার সমৃদ্ধ, হিমোগ্লোবিন বাড়াতেও ভূমিকা রাখে।

পনির:- ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম, প্রোটিন, জিঙ্ক এবং ভিটামিন এ পাওয়া যায় পনির থেকে। পনির হাড় মজবুত করার পাশাপাশি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। মাত্র ১০০ গ্রাম পনিরে ৪২ শতাংশ ক্যালসিয়াম থাকে। প্রতিদিন প্রোটিন খেলে হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।

টমেটোর জুস অত্যন্ত উপকারী

দই:- দই হচ্ছে আরেকটি দুগ্ধজাত খাবার যা প্রতিদিন খেতে পারলে ক্যালসিয়াম দৈনিক চাহিদার অনেকটুকুই পূরণ হয়ে। হাড় ভালো রাখার পাশাপাশি অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে দই।

শাক-সবজি:- নিয়মিত পালং শাক, ব্রকোলি মতো সবুজ শাক-সবজি খান। এগুলো কেবল পটাসিয়াম, আয়রন এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ নয়, ক্যালসিয়ামেরও চমৎকার উৎস শাক-সবজি। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ার পাশাপাশি হাড় ও পেশীর ব্যথা উপশম করতে সাহায্য করে।
তথ্য: টাইমস অব ইন্ডিয়া