আগাম জামিন পেলেন মুশতাক
আগাম জামিন পেলেন মুশতাক
রাজধানীর মতিঝিলের আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরিচালনা পর্ষদের (গভর্নিং বডি) সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদকে ছাত্রীকে ফাঁদে ফেলে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
ছাত্রীর বয়স নির্ধারণে বিশেষজ্ঞদের দিয়ে বোর্ড গঠনের মাধ্যমে করতে বলেছেন আদালত। ছাত্রীর বয়স নির্ধারণ না হওয়া পর্যন্ত তাকে সেফ কাস্টডিতে (নিরাপদ হেফাজত) রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ। এই মামলায় আগাম জামিন চেয়ে মুশতাকের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেওয়া হয়।
মুশতাক আহমেদ এর আগে এই মামলায় আগাম জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন, গতকাল হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ আবেদনটি ফেরত দেন। এ অবস্থায় মুশতাকের আইনজীবী জামিন আবেদন এই বেঞ্চে জমা দেন তাঁর। আজ বিকেলে আবেদনের ওপর শুনানি হয়। জামিন আবেদনের শুনানি থাকায় আদালতে হাজির হন মুশতাক আহমেদ।
আদালত ছাত্রীর বক্তব্যও শোনেন। তিনি প্রাপ্তবয়স্ক এবং স্বেচ্ছায় বিয়ে করেছেন বলে আদালতে বলেন। মুশতাকের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ সাঈদ আহমেদ ও সোহরাব হোসেন। বাদীপক্ষে ছিলেন আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো: আবুল হাশেম ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহফুজুর রহমান।
কেট উইন্সলেটের সেই কোট নিলামে
সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহফুজুর রহমান লিখন বলেন, মুশতাক আহমেদকে ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন দেওয়া হয়েছে। এবং ভুক্তভোগী ছাত্রীর বয়স নির্ধারণ না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে সেফ কাস্টডিতে রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
ছাত্রীর বাবা আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরিচালনা পর্ষদের দাতাসদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদের (৬০) বিরুদ্ধে ১ আগস্ট ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮-এ নালিশি মামলা করেন। মামলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদীর বিরুদ্ধে ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগ আনা হয়। আদালত বাদীর (ছাত্রীর বাবা) জবানবন্দি গ্রহণ করে মামলাটি গুলশান থানাকে এজাহার হিসেবে রেকর্ডভুক্ত করার আদেশ দেন। সে অনুযায়ী থানা-পুলিশ মামলাটি নথিভুক্ত করে।