নতুন নির্দেশনা ইতালির ভিসা অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুকিং পদ্ধতি
ইতালি দূতাবাস ভিসা অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুকিং পদ্ধতি পরিবর্তনের জন্য ভিসা সেবা-দাতা প্রতিষ্ঠান ভিএফএস গ্লোবালকে বুকিং পদ্ধতি পরিবর্তন করার নির্দেশনা দিয়েছে। ঢাকার ইতালির দূতাবাস আরও জানিয়েছে , এই ভিসার জন্য বুকিং স্লট নিতে কোনো চার্জ (অতিরিক্ত টাকা) লাগবে না। ঢাকার ইতালির দূতাবাস, ইতালি গমনেচ্ছু বাংলাদেশীদের দ্রুত ভিসা ও অ্যাপয়েন্টমেন্ট শিডিউল সহজীকরনের নতুন এই কার্যক্রমের উদ্যোগ নেয়। তাই আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় নতুন নির্দেশনা ইতালির ভিসা অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুকিং পদ্ধতি।
ইতালির ভিসা অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুকিং পদ্ধতি
ঢাকার ইতালি দূতাবাস ভিসা অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুকিং পদ্ধতি পরিবর্তনের জন্য ভিসা সেবা-দাতা প্রতিষ্ঠান ভিএফএস গ্লোবালকে বুকিং পদ্ধতি পরিবর্তন করার নির্দেশনা দিয়েছে। বৈধ নুলাওস্তাসহ [ওয়ার্ক পারমিট ভিসা] অ্যাপয়েন্টমেন্টকারীদের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে আবেদন করতে পারবেন। ঢাকার ইতালির দূতাবাস আরও জানিয়েছে , এই ভিসার জন্য বুকিং স্লট নিতে কোনো চার্জ (অতিরিক্ত টাকা) লাগবে না।
অন্যদিকে ভিএফএস গ্লোবাল তাদের ওয়েবসাইটে গত মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ইতালি দূতাবাসের নির্দেশ অনুসারে, ভিএফএস গ্লোবাল ভিসার জন্য একটি নতুন অনলাইন অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুকিং পদ্ধতি নিয়ে কাজ শুরু করছে । এ পদ্ধতিতে জরুরি প্রয়োজনে সব আবেদনকারীদের সেই অনুযায়ী একটি অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুক করার অনুমতি দেবে।
তবে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে নতুন এ নিয়ম কবে বা কখন থেকে কার্যকর এবং সর্বজনীন হবে এ বিষয়টি জানানো হবে বলে জানিয়েছে দূতাবাস।আরও পড়ুন: প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন সুদের হার
বাংলাদেশীদের ইতালি যাওয়ার অনুমোদন আসার পর ঢাকায় দেশটির দূতাবাসে পাসপোর্ট জমা দিতে ভিএফএস গ্লোবাল থেকে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে হয়। বাংলাদেশী কর্মীদের সম্প্রতি ভিএফএস গ্লোবাল থেকে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে গিয়ে বেশ ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে বাংলাদেশী কর্মীদের অভিযোগ, সহজেই মিলছে না ভিএফএসের অ্যাপয়েন্টমেন্ট।
ইতালির ভিসা
ইতালির ভিসা পাওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া, বিশেষ করে যদি আপনি ইতালিতে পর্যটন, পড়াশোনা, কাজ, বা পরিবারের সাথে পুনর্মিলিত হতে চান। ইতালির ভিসার জন্য প্রথমে একটি আবেদনপত্র পূরণ করতে হবে, যেখানে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য, ভ্রমণের উদ্দেশ্য, এবং থাকার সময়কাল উল্লেখ করতে হবে। এর সাথে প্রয়োজনীয় দলিলাদি যেমন পাসপোর্ট, ছবি, বিমানের টিকিট, এবং অর্থনৈতিক সক্ষমতার প্রমাণ জমা দিতে হবে।
আবেদন প্রক্রিয়াটি স্থানীয় ইতালিয়ান কনস্যুলেট বা ভিসা আবেদন কেন্দ্রের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। আবেদন যাচাইয়ের পর, প্রয়োজনীয়তা পূরণ হলে ভিসা অনুমোদন পেতে পারেন। এই প্রক্রিয়ার সময়সূচি এবং ভিসার ধরণ ভেদে প্রক্রিয়াকরণের সময়কাল পরিবর্তিত হতে পারে।
ভিসা পেতে সতর্কতার সাথে নির্দেশিকা অনুসরণ করা এবং সঠিক দলিলাদি জমা দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এতে ভ্রমণ বা অন্যান্য কার্যক্রম নির্ধারিত সময়ে সম্পন্ন করা সম্ভব হয়।
ইতালির ভিসা কত টাকা
ভিসার ফি নির্ভর করে ভিসার প্রকার এবং আবেদনকারীর বয়সের উপর। সাধারণত, স্বল্পমেয়াদী শেঞ্জেন ভিসার জন্য আবেদন ফি প্রায় ৮০ ইউরো, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৯,০০০ থেকে ১০,০০০ টাকা হতে পারে (রূপান্তরের হারের উপর নির্ভর করে)। শিশুদের জন্য (৬-১২ বছর) এই ফি প্রায় ৪০ ইউরো, অর্থাৎ ৪,৫০০ থেকে ৫,০০০ টাকা। দীর্ঘমেয়াদী ভিসার ক্ষেত্রে, ফি বিভিন্ন হতে পারে এবং প্রয়োজনীয় তথ্য ইটালির দূতাবাস বা কনস্যুলেট থেকে পাওয়া যাবে।
ভিসা প্রক্রিয়ার সাথে সম্পর্কিত অন্যান্য খরচ যেমন ভিসা আবেদন কেন্দ্রে পরিষেবা চার্জ এবং বীমা খরচ প্রযোজ্য হতে পারে। এ ছাড়া, ইন্টারভিউ ফি বা অন্যান্য প্রশাসনিক ফি থাকতেও পারে। তাই ভিসার জন্য আবেদন করার আগে সমস্ত খরচ বিবেচনা করে প্রস্তুতি নেওয়া উচিত। নিশ্চিত তথ্যের জন্য, আবেদনকারীদের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা বাঞ্ছনীয়।
পরিশেষ
পরিশেষে বলা যায় যে নতুন নির্দেশনা ইতালির ভিষা অ্যপয়েন্টমেন্ট বুকিং পদ্ধতি বিস্তারিত জানতে ও শিখতে পেরেছেন ধন্যবাদ।
Pingback: ইউরোপে কাজের সুযোগ - amaderkhabar