অশ্বগন্ধা মানসিক চাপ কমায়
অশ্বগন্ধা মানসিক চাপ কমায়
মানসিক চাপ নানাভাবে মানসিক স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে আর আধুনিক জীবনে মানসিক চাপ আছেই। মানসিক চাপ ফলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। মানসিক চাপের কারণে অনেক দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকিও বাড়ে যেমন, ডায়াবেটিস বা কার্ডিওভাসকুলার মতো রোগ।
অশ্বগন্ধা মানসিক চাপ কমাতে দারুণ উপকারী। প্রাচীন এই ভেষজটি মানসিক চাপ, উদ্বেগ, স্মৃতিশক্তি হ্রাস এবং অনিদ্রাজনিত সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে বেশ সহায়ক হতে পারে।
এই ভেষজটির উল্লেখ পাওয়া যায় প্রায় ৬০০০ বছর আগের প্রাচীন গ্রন্থেও। অশ্বগন্ধা ভূমিকা রাখে শারীরিক ও মানসিক শক্তি বাড়াতে এবং মানসিক চাপ মোকাবেলায়। এই কারণেই উদ্বেগ, বিষণ্নতা এবং ঘুমের ব্যাধিযুক্ত লোকদের তাদের উপসর্গগুলি থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য ভেষজটি দেওয়া হয়েছিল।
ভেষজ উপাদান নিয়ে কাজ করা রাসায়নম সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা আয়ুশ আগারওয়াল বলেন, এটি মানসিক চাপ, উদ্বেগ এবং বিষন্নতা কমায়। অশ্বগন্ধা শক্তিশালী ভেষজ যা মানসিক স্বাস্থ্যের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। অশ্বগন্ধা স্ট্রেস হরমোনগুলির ভারসাম্য বজায় রেখে, মনকে শান্ত করতে এবং সুস্থ বোধ করতে ভূমিকা রাখে। অনেক গবেষণায় দেখা গেছে, অশ্বগন্ধা মুড ভালো করতে এবং মানসিক স্বাস্থ্য উন্নত করতে বেশ কার্যকর।
অশ্বগন্ধার উপকারিতা:- অশ্বগন্ধা আলসার প্রতিরোধে সাহায্য করে। ক্যান্সার প্রতিরোধক গুণও রয়েছে অশ্বগন্ধা। এটি ক্যান্সার কেমোথেরাপি বা রেডিওথেরাপির সংযোজন হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। অশ্বগন্ধায় পারকিনসন্স, আলঝেইমার রোগের মতো নিউরোডিজেনারেটিভ রোগে আক্রান্তদের জন্যও ইতিবাচক প্রভাব রয়েছে।
ভিসা নিষেধাজ্ঞার আবেদন অস্ট্রেলিয়ায়
অশ্বগন্ধার একটি অ্যান্টি-ডিপ্রেসেন্ট প্রভাবও রয়েছে। এ কারণে এটি হতাশা দূর করে। অ্যান্টি-আর্থ্রাইটিস প্রভাব রয়েছে অশ্বগন্ধায়। নিয়মিত অন্ধগন্ধা গেলে ব্যথার প্রতিক্রিয়া থেকে স্নায়ুতন্ত্রকে শান্ত রাখে।
খাবেন কীভাবে:- বিভিন্নভাবে খাওয়া যায় অশ্বগন্ধা। অশ্বগন্ধার পাউডার, ক্যাপসুল বা তরল নির্যাস হিসাবে পাওয়া যায়। কেউ উষ্ণ পানি, দুধ বা মধুর সাথে গুঁড়ো মিশিয়ে পানীয় হিসাবে খেতে পারেন। সুনির্দিষ্ট ডোজ জেনে ক্যাপসুল খাওয়া ভালো।