পুঁজিবাজারের তদারকিতে জোর দিচ্ছে এফআরসি
ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিলের (এফআরসি) চেয়ারম্যান ড. মো. হামিদ উল্লাহ ভূঁইয়া পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি তদারকিতে জোর দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি বলেছেন, আর্থিক বিধিমালা চূড়ান্ত হলে কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন তৈরিতে জালিয়াতি অনেকটাই কমে আসবে। কেউ অনিয়মের আশ্রয় নিলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২০মার্চ সোমবার রাজধানীর পল্টনের ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরাম (সিএমজেএফ) আয়োজিত সিএমজেএফ টক এ তিনি এসব কথা বলেন। সংগঠনটির সভাপতি জিয়াউর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবু আলীর সঞ্চালনায় এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। তিনি বলেন, তালিকাভুক্ত শেয়ার কোম্পানির শেয়ারের কমপক্ষে ৩০ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে থাকা উচিত। তাহলে কোম্পানির স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে। তবে সবকিছুর আগে প্রতিষ্ঠানের জনবল সংকট কাটিয়ে ওঠা দরকার। সেজন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এফআরসির চেয়ারম্যান বলেন এটি আমার ব্যক্তিগত গবেষণা। ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং স্ট্যান্ডার্ডের [আইএফআরএস] ৯ নং ধারা বাস্তবায়ন হলে ব্যাংকের সম্পদ কমে যাবে। এফআরসি আইনে অডিটরদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক জরিমানার বিধান আছে। মে মাসের মধ্যেই অডিটরদের এফআরসিতে নিবন্ধিত হতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, এটাও বিধির মাধ্যমে নির্ধারিত হবে। এ আইনে সর্বনিম্ন ৫ বছরের জেল এবং সর্বনিম্ন ৫ লাখ টাকা জরিমানার বিধান আছে। যেসব অডিটর এফআরসিতে তালিকাভুক্ত হবেন না, তাঁরা কোন প্রতিষ্ঠানের ফাইন্যান্সিয়াল স্টেটমেন্ট অডিট করতে পারবেন না। তিনি বলেন, প্রশাসনিক জরিমানার বিধান হোক বা না হোক, অডিটরের কোন অনিয়ম দেখলে সরাসরি মামলা করা হবে। এজন্য আমরা প্যানেল ল’ইয়ার নিয়োগ দিয়েছি।
ড. হামিদ উল্লাহ বলেন, এফআরসিতে ভালো লোক আসা জরুরি। আমি মনে করি ভবিষ্যতে এফআরসি অনেক বেশি রেগুলেটরি ভূমিকা পালন করবে।