স্বাস্থ্য ও পুষ্টি

দন্তরোগের প্রতিরোধের ব্যবস্থা

দন্তরোগের প্রতিরোধের ব্যবস্থা

অবহেলার কারণে দাঁত নষ্ট বা দাঁত ব্যথার কারণ হতে পারে। ডেন্টাল প্লাকই হচ্ছে দাঁত নষ্ট হয়ে যাওয়ার প্রধান উপাদান। ডেন্টাল প্লাকে বিদ্যমান ব্যাকটেরিয়া ডেন্টাল ক্যারিজ, যা দন্তক্ষয় যোগ করে। এতে দাঁতের উপরিভাগ ভেঙে যেতে পারে, আবার ব্যথার কারণ হতে পারে। বিভিন্ন ভাবে আঘাত পেয়েও দাঁত নড়ে গিয়ে ব্যথার কারণ হতে পারে। আবার দন্তমজ্জা নষ্ট হয়ে গেলেও ব্যথার কারণ হতে পারে।

ব্রাশের মাধ্যমে দাঁত ও মাড়িতে অতিরিক্ত ঘর্ষণের ফলে দাঁতের এনামেল নষ্ট হয়ে যায় ও মাড়ি মরে যায়। তখন ঠাণ্ডা পানি, মিষ্টিজাতীয় খাবার ও টকজাতীয় খাবার গেলে দাঁত শিরশির করতে পারে বা দাঁত ও মাড়িতে ব্যথা অনুভব হতে পারে।

দাঁতের ব্যথা এড়াতে:-
প্রথমেই দন্তরোগ প্রতিরোধের ব্যবস্থা করতে হবে

# নিয়মিত দুই বেলা ব্রাশ করতে হবে, রাতে ঘুমানোর আগে ও সকালে নাশতা করার পর ও অন্তত রাতে একবার ডেন্টাল ফ্লস ব্যবহার করতে হবে।

# মিষ্টি জাতীয় বা আঠালো কোন খাবার খেলে সঙ্গে সঙ্গে বেশি করে পানি পান করতে হবে।

# অ্যালকোহল, ধূমপান, জর্দা, সাদা পাতা, গুল, কোমল পানীয়, পান বন্ধ করতে হবে।

# বর্জন করতে হবে ভাজাপোড়া জাতীয় খাবারও।

হৃদ্যতার সম্পর্ক দুই জায়ের মধ্যে বিচ্ছেদের সুর

দাঁতে হঠাৎ ব্যথায় যা করবেন
# কুসুম গরম পানির সঙ্গে সামান্য লবণ দিয়ে ৪০ সেকেন্ড থেকে এক মিনিট ধরে কুলকুচি করতে হবে দিনে ৩ থেকে চারবার।

# বাসায় ব্যবহৃত পেস্ট বা লবণমিশ্রিত পেস্টও দাঁতের গায়ে লাগালে ব্যথামুক্ত হতে পারেন। এটা ২ থেকে তিন মিনিট দাঁতের গায়ে লাগিয়ে রাখতে হবে।

# লবণে থাকা অ্যান্টিসেপটিক ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ব্যথামুক্ত করতে সাহায্য করে।

# তবে, স্থায়ীভাবে ব্যথা কমানোর জন্য অবশ্যই নিকটস্থ বিডিএস বা বিশেষজ্ঞ ডাক্তার অবশ্যই দেখাতে হবে।

3 thoughts on “দন্তরোগের প্রতিরোধের ব্যবস্থা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *