কারকিউমিন কি
কারকিউমিন কি
মসলা হিসেবেই হলুদ বা হলদি বেশি ব্যবহার হয়। হলুদের জন্মায় মাটির নিচে, হলুদ গাছের শিকড় থেকে হলুদ বা হলদি মসলাটা পাওয়া যায়। গাছ থেকে হলুদকে আলাদা করে ভেঙে নিয়ে সিদ্ধ করা হয়। এবং রোদে শুকিয়ে একে শক্ত হলুদে পরিণত করা হয়। লোভনীয় রঙের ও এর গুণের জন্য হলুদ ছাড়া রান্নার কথা ভাবাও যায় না।
কিন্তু হলুদের রং হলুদ হওয়ার কারণ কী?
কারকিউমিন নামে একটা রঞ্জক পদার্থ আছে হলুদের ভেতর। হলুদে প্রোটিন সংশ্লেষক একটা পদার্থ আছে, একে রাইবোজম বলে। কারকিউমিন নামের রঞ্জক পদার্থ এই রাইবোজমের ভেতরেই পাওয়া যায়। হলুদ থেকেও সূর্য বা অন্য উৎস থেকে আলো প্রতিফলিত হয়ে আমাদের চোখে পড়ে। তাই আমরা হলুদকে হলুদ দেখতে পাই। যে কোনো বস্তু থেকে যখন আলো প্রতিফলিত হয়ে আমাদের চোখে এসে পড়ে, তখন সেই বস্তুটা আমরা দেখতে পাই।
জোনাকি পোকা আলো জ্বালে কেন ও কিভাবে?
তবে প্রশ্ন হলো, সাদা না দেখে কেন হলুদ রঙের দেখি, সূর্যের আলো যেহেতু সাদা। আসলে সূর্যের সাদা আলো রংধনুতে যে সাতটি রং থাকে বেগুনি, নীল, আসমানি, হলুদ, সবুজ, কমলা ও লাল। সেই সাত রঙের মিশ্রণ সাদা আলো। যখন হলুদের ওপর এই সাতটা রং এসে পড়ে, তখন কারকিউমিন হলুদ রং ছাড়া বাকি রং গুলো শুঁষে নেয় এবং শুধু হলুদ রং প্রতিফলিত করে। তাই আমরা হলুদকে হলুদ রঙে দেখি।
সূত্র:- রসায়ন বিজ্ঞান/ পার্থসারথি চক্রবর্তী।
Pingback: টিয়ার গ্যাস থেকে বাঁচার উপায় - Amader Khabar
👌👌👌👌
Thank U.