ফ্যাটি লিভারের লক্ষণ…
ফ্যাটি লিভারের লক্ষণ…
গুরুতর একটি ব্যাধি ফ্যাটি লিভার । এই রোগ গুরুতর আকার ধারণ করলে এর থেকে হতে পারে লিভার সিরোসিস। তাই বিশেষজ্ঞরা বারবার এই রোগ নিয়ে সতর্ক করেন।
ফ্যাটি লিভার ২ ধরনের হয়, অ্যালকোহোলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ ও নন অ্যালকোহোলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ। অ্যালকোহোলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজের কারণ হলো মদ্যপান। অপরদিকে নন অ্যালকোহোলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজের পেছনে থাকে জীবনযাত্রা ও খাদ্যাভ্যাস। লক্ষণ গুলো প্রথমেই চিনে নিতে পারলে চিকিৎসা ও জীবনযাত্রার বদলের মাধ্যমে রোগী সুস্থ হয়ে ওঠেন।
এই কয়েকটি উপসর্গ দেখলে সাবধান হন:- মুখে যে কয়েকটি লক্ষণ দেখা দিতে পারে:- মুখ ফুলে যাওয়া, মুখের ত্বক ও লাল হয়ে যেতে পারে, ঘাড়ের নীচের দিকের অংশ কালচে হওয়া, মুখে র্যাশ বের হওয়া, মুখের ত্বকে চুলকানি ও ত্বক হলুদ হয়ে যাওয়া ইত্যাদি।
ফ্যাটি লিভারের আরও কয়েকটি লক্ষণ:- পেটে ব্যথা, ক্ষুধা না লাগা, বমি বমি ভাব, বমি হওয়া, ওজন দ্রুত কমা, পা ও শরীরের অন্যান্য অংশে পানি জমা, প্রচণ্ড দুর্বলতা ও বিভ্রান্তি ইত্যাদি।
কীভাবে রোগ নির্ণয়:- এই অসুখ নির্ণয় করার ক্ষেত্রে প্রথমে দেওয়া হয় লিভার এনজাইম টেস্ট। এই টেস্টেই খুব সহজে রোগটি সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা যায়। এছাড়া চিকিৎসক আলট্রা সাউন্ড করে দেখতে পারেন। পাশাপাশি লিভার বায়োপসি ও ফাইব্রোস্ক্যান করা যেতে পারে। এই দুটি টেস্টের মাধ্যমেই অনায়াসে রোগের পর্যায় সম্পর্কে জানা যায়। তাই দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই বললেই চলে।
ফ্যাটি লিভারের চিকিৎসা কী:- ডায়েট ও জীবনযাত্রায় কিছু বদল আনতে হয়। এই অসুখের চিকিৎসার ক্ষেত্রে কয়েকটি ওষুধ ব্যবহার করা হয়। সেই ওষুধগুলো দারুণ কাজ করে। তবে এর পাশাপাশি কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখা সবচেয়ে জরুরি, ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইডস নিয়ন্ত্রণে রাখা, মদ্যপান না করা, ওজন কমানো, শাকসবজি বেশি করে খাওয়া ও নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে।