মা-বোনের সহযোগিতায় বাবাকে গলা কেটে হত্যা
নেত্রকোণার জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলায় আবুল হোসেন (৫৬) নামে এক ব্যক্তিকে গলা কেটে হত্যার পর মরদেহ খালে পুতে রাখার ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার ২১ মার্চ, ভোরে উপজেলার মাঘান ইউনিয়নের বড় বেথাম এলাকার সাপমরা খাল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। মোহনগঞ্জ থানার ওসি মঙ্গলবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এ ঘটনায় নিহতের মেয়ে চিন্তামনি (১৫), স্ত্রী রুপবাহার (৪৩), ও সহযোগী আশিকুর রহমান আবিরকে (২০) আটক করেছে পুলিশ। তবে নিহতের ছেলে আরমান মিয়া (২৫) পলাতক আছেন।
মোহনগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক, কানাই লাল চক্রবর্তী বলেন, শনিবার বিকেল থেকে নিখোঁজ হন আবুল হোসেন। খবর পেয়ে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে অনুসন্ধান শুরু করি আমরা। ঘটনার সূত্র খুজতে গিয়ে সন্দেহজনকভাবে আবুল হোসেনের ছেলে আরমানের সহযোগী আশিকুর রহমান আবিরকে প্রথমে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করি। একপর্যায়ে আবির হত্যার ঘটনা স্বীকার করেন।
এসআই কানাই লাল বলেন, শনিবার রাতে আবুল হোসেনকে নিজ বাসায় গলা কেটে হত্যা করেন তার ছেলে আরমান। এ কাজে মেয়ে চিন্তামনি ও স্ত্রী রুপবাহার তাকে সহযোগিতা করেন। পরে মরদেহ গুম করার জন্য আশিকুরকে ডেকে নেন আরমান। পরে বাড়ির পাশে সাপমরা খালে গর্ত করে মরদেহ মাটির নিচে পুতে রাখা হয়। জমিতে জমে থাকা বৃষ্টির পানি খালে ছেড়ে দেওয়া হয়, যেন মরদেহ দেখা না যায়।
মোহনগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে সকালে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও তথ্য নেওয়া হচ্ছে। এখনও কোনো মামলা হয়নি। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। আর পলাতক আরমানকে গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে।