স্বাস্থ্য ও পুষ্টি

শরীরকে রোগ ও টক্সিন টক্সিনমুক্ত রাখতে

শরীরকে রোগ ও টক্সিন টক্সিনমুক্ত রাখতে

খাওয়াদাওয়ার অনিয়ম, বাইরে ঘোরা, শরীরচর্চা বন্ধ যার প্রভাব শুধু শরীরে নয়, মনের উপরেও পড়ে। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনে যে শুধু ওজন বাড়ে তা কিন্তু নয়। ওজনের হেরফের হয় শরীরে টক্সিন বা দূষিত পদার্থের মাত্রা বে়ড়ে গেলে। হেঁশেলে সবচেয়ে প্রয়োজনীয় মশলা হলুদ দিয়েই এই ধরনের সমস্যা বশে রাখা যায়।

হলুদের অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে, শরীরকে ভিতর থেকে টক্সিনমুক্ত রাখতে সাহায্য করে। অনেকেই আবার সকালে খালি পেটে কাঁচা হলুদ বাটা খান। তবে এ ছাড়াও আরও ৩ ভাবে হলুদ খাওয়া যেতে পারে।

ডিটক্স পানীয়:-
প্রতি দিন হালকা গরম পানিতে মধু এবং লেবুর রস মিশেয়ে অনেকেইতো খেয়েই থাকেন। এই পানীয়ের কার্যকারিতা আরও বাড়িয়ে তুলতে এর মধ্যে মেশাতে পারেন এক চিমটে হলুদ গুঁড়ো। আগের দিন রাতে বড় কাচের পাত্রে হালকা গরম পানিতে বেশ কিছুটা আদা এবং লেবুর টুকরো, কয়েকটি পুদিনা পাতা, দারচিনির টুকরো-সহ ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন সকালে ওই পানিতে এক চিমটে হলুদ গুঁড়ো এবং মধু মিশিয়ে খেয়ে নিন। দারুণ কাজ করে ফ্লু, সর্দি-কাশি, ঠান্ডা লাগা এবং অ্যালার্জির সমস্যায়।

গোলমরিচের উপকারিতা

সোনালি দুধ:-
যদি দুধ খেতে সমস্যা না থাকে, তা হলে সিজন বদলের সময়ে সংক্রমণজনিত সমস্যা থেকে বাঁচতে এই পানীয় বিশেষ ভাবে কাজ করে। এক গ্লাস গরম দুধে এক চিমটে হলুদ গুঁড়ো ও এক চিমটে গোলমরিচের গুঁড়ো মিশিয়ে খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে। তার সঙ্গে একটু মধু মিশিয়ে নিতে পারলে পুষ্টিগুণ আরও বৃদ্ধি পাবে।

হলুদের চা:-
এই পানীয় তৈরি করতে হলুদ গুঁড়ো বা কাঁচা হলুদ দুটি-ই ব্যবহার করা যায়। একটি পাত্রে এক থেকে ২ কাপ পানি ফুটতে দিন, পানি ফুটতে শুরু করলে তার মধ্যে আদার টুকরো দিয়ে দিন। এবার দিন এক চিমটে হলুদ গুঁড়ো। ভাল করে ফুটিয়ে নিয়ে গ্যাস বন্ধ করে দিন। খাওয়ার আগে এই চা মধু বা কয়েক ফোঁটা লেবুরও রস যোগ করে নিতে পারেন। স্বাদ এবং স্বাস্থ্য দুই ভাল হবে।

3 thoughts on “শরীরকে রোগ ও টক্সিন টক্সিনমুক্ত রাখতে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *