জাতীয়

পায়রা সমুদ্র বন্দর ভিড়ল ১০ দশমিক ২ মিটার গভীরতার বিদেশি জাহাজ

মার্শাল আইল্যান্ডের পতাকাবাহী ‘অরুনা হুলিয়া’ নামের জাহাজটি ইন্দোনেশিয়ার বালিকপপন বন্দর থেকে ৩৭ হাজার ৮০০ মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে বৃহস্পতিবার বন্দরের ইনার অ্যাংকরে নোঙর করে। জাহাজটির দৈর্ঘ্য ১৮৮ মিটার ও প্রস্থ ৩৩ মিটার।

পায়রা বন্দরের মিডিয়া ও ট্রাফিক বিভাগের উপ-পরিচালক আজিজুর রহমান জানান, এই প্রথম পায়রা বন্দরের ইনার এ্যাংকরে ভিড়ল ১০ দশমিক ২ মিটার গভীরতার জাহাজ। তবে এর আগে পায়রা বন্দরের আউটারে ১৩ মিটার গভীরতার জাহাজ এসেছে। আগামী সপ্তাহে মদিনা গ্রুপের একটি বড় জাহাজ ৬০ হাজার মেট্রিক টন কয়লা বোঝাই নিয়ে পায়রা বন্দরে আসবে বলে তিনি জানান।

অরুনা হুলিয়া নামের জাহাজটি ইন্দোনেশিয়া থেকে পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ৩৭ হাজার ৮০০ মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে এসেছে জাহাজটি। এর আগে ২৬ মার্চ পায়রা বন্দরের সাড়ে ১০ মিটার গভীরতার ৭৫ কিলোমিটার দীর্ঘ চ্যানেলের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। বর্তমানে দেশের গভীরতম সমুদ্র বন্দর হিসেবে পায়রা বন্দর দাবি করছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, এখন থেকে নিয়মিত বড় বড় জাহাজ এ বন্দরে নোঙর করবে। বাংলাদেশ ডেভলপমেন্ট ফান্ডের সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বেলজিয়াম ভিত্তিক ড্রেজিং প্রতিষ্ঠান জান ডে নুল বন্দরের ড্রেজিং কাজ সম্পন্ন করে। এতে ৬০ হাজার টন পণ্যবাহী প্যানাম্যাক্স সাইজের জাহাজ সরাসরি বন্দরের টার্মিনালে ভিড়তে পারবে। বন্দরের এ চ্যানেলটি নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ ও ড্রেজিং কাজ চলমান থাকবে ২০২৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত। সরাসরি মাদার ভ্যাসেল থেকে কয়লা খালাস সম্ভব হওয়ায় পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য আনা কয়লা পরিবহনের ব্যয় কমবে বলে জানান বন্দর সংশ্লিষ্টরা।

বন্দরে প্রায় ২০০ বিদেশি জাহাজ পণ্য খালাস করেছে এ পর্যন্ত বলেও জানান আজিজুর রহমান। তিনি জানান, পায়রা বন্দরে গত ২ বছরে ৫১৬ কোটি টাকারও বেশি রাজস্ব আয় হয়েছে। এর মধ্যে ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে ১২৮ গুণ বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে। ২০২২ সালের তুলনায় চলতি বছর ৮ থেকে ১০ গুণ বেশি রাজস্ব আদায় হবে বলে আশা করছেন কর্তৃপক্ষ।

আইপিএল খেলতে দেশ ছাড়ছেন লিটন

২০২১ সালে ৬৪টি বিদেশি জাহাজ এবং দেশীয় ১৭৬টি লাইটার জাহাজে মালামাল পরিবহনে রাজস্ব আয় হয়েছে ১২৬ কোটি ৭৬ লাখ টাকার। আর ২০২২ সালে ১২১টি বিদেশি ও ৮৮৫টি লাইটার জাহাজে আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ৩৬ লাখ টাকার রাজস্ব।

২০১৬ সালের ১৩ আগস্ট বন্দরের আনুষ্ঠানিক পণ্য খালাস কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। বর্তমানে বন্দরের প্রথম টার্মিনাল, ইয়ার্ড, সংযোগ সড়কসহ অবকাঠামোগত উন্নয়নের কাজ চলমান রয়েছে। উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১৯ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পায়রা সমুদ্র বন্দরের ফলক উন্মোচন করেন।

 

 

পায়রা বন্দর বাংলাদেশের তৃতীয় বন্দর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *