স্ট্রোক, ডায়াবেটিস ও ক্যানসারের ঝুঁকি কমাবে
স্ট্রোক, ডায়াবেটিস ও ক্যানসারের ঝুঁকি কমাবে
সবাই জানি জলপাইয়ের তেলের গুণের কথা। তেলের মতো জলপাই গাছের পাতারও রয়েছে জাদুকরি উপকারিতা? প্রাচীন সংস্কৃতিতে বিভিন্ন রোগ নিরাময়ে জলপাই গাছের পাতার ও তেলের ব্যবহার করা হয়েছে। এটি ব্যবহারের ইতিবাচক দিকগুলো উঠে এসেছে সাম্প্রতিক সময়ের গবেষণাগুলোতে।
স্বাস্থ্যকর গুণের শুরু ফিটোকেমিক্যাল নামক উপাদান থেকে। ফিটোকেমিক্যাল পাওয়া যায় গাছগাছালি বা উদ্ভিদের মধ্যে। কীটপতঙ্গ থেকে এটি গাছপালাকে সুরক্ষা দেয়। যখন আমরা সেই গাছের লতাপাতা খাই, ফিটোকেমিক্যাল আমাদের শরীরে প্রবেশ করে এবং বিভিন্ন রোগ থেকে সুরক্ষা দেয়। জলপাইয়ের পাতায় অলিওরোপিয়েন নামক এক ধরনের ফিটোকেমিক্যাল পাওয়া যায়। এর রয়েছে বিভিন্ন উপকারিতা যা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট হেলদি অ্যান্ড ন্যাচারাল ওয়ার্ল্ড এবং রিয়েল ফার্মেসি ডট কম বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে জানিয়েছে জলপাইয়ের পাতার বিভিন্ন উপকারিতার কথা গুলো।
অ্যান্টি ভাইরাল এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান:- অ্যান্টি ভাইরাল এবং অ্যান্টিব্যাকেটিরিয়াল উপাদান রয়েছে জলপাইয়ের পাতার মধ্যে। এটি ফ্রি র্যাডিকেল প্রতিরোধ করে। জলপাইয়ের পাতা প্রদাহ থেকে রেহাই দেয়। এটি বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ করে। এ ছাড়া এতে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট।
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ:- উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে জলপাইয়ের পাতার থাকা অলিওরোপিয়েন। এটি রক্তনালিকে শিথিল করতে সাহায্য করে। অনিয়মিত হৃদস্পন্দন কমায়, রক্ত জমাট বাঁধা প্রতিরোধ করে। এ ছাড়া করনারি আর্টারিতে রক্ত চলাচল ঠিক রাখতে কাজ করে।
ডায়াবেটিস:- গবেষণায় দেখা গেছে, জলপাইয়ের পাতা শরীরের স্বাস্থ্যকর টিস্যুগুলোকে সুরক্ষা দেয়। জলপাইয়ের পাতা রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এটি ‘টাইপ টু’ ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে।
ক্যানসার প্রতিরোধে:- এটি ক্যানসার তৈরিকারী কোষ বৃদ্ধিতে বাধা দেয়। স্তন ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে জলপাইয়ের পাতার নির্যাস। এ ছাড়া টিউমারের বৃদ্ধিও কমিয়ে দেয়।
নিউরোপ্যাথি:- অ্যান্টি ইনফ্লামেটোরি উপাদান রয়েছে জলপাইয়ের পাতার মধ্যে। এ ছাড়া এটি প্রবীণ বয়সের পারকিনসন এবং স্মৃতিভ্রম রোগও প্রতিরোধ করে। এটি মস্তিষ্ককে সুরক্ষা দেয় কেন্দ্রীয় স্নায়ু পদ্ধতিকে স্ট্রোকের ঝুঁকি থেকে সুরক্ষিত রাখে বেশ কার্যকর।
নাক খোঁটাই কেন আমরা
হাড়ের গঠন:- স্পেনে ২০১১ সালে একটি গবেষণার ফলাফলে বলা হয়, একে মোটামুটি নিরাপদ খাবারই বলা যায়। অলিওরোপিয়েন হাড়ের ঘনত্ব কমে যাওয়া প্রতিরোধ করে ও হাড় ক্ষয় রোগের সঙ্গে লড়াই করে। এ ছাড়া এই পাতা হাড় তৈরিকারী কোষকে তৈরি হতে উদ্দীপ্ত করে। জলপাইয়ের পাতার নির্যাস তরল আকারে বা শুকিয়ে গুঁড়ো করে খেতে পারেন। জলপাইয়ের পাতার চা বানিয়েও খেতে পারেন।
কেউ যদি কেমোথেরাপি নেয়, তাহলে এটি গ্রহণ না করাই ভালো। সবচেয়ে ভালো উপায় হলো, যে কোনো কিছু গ্রহণের আগে একবার চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া।
Pingback: ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার, আদিবাসী ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে - Amader Khabar
🗽🗽🗽🗽🗽
ধন্যবাদ আপনাকে
👋👋👋👋
ধন্যবাদ আপনাকে