বিনোদন

ইলহামের প্রতি ভালোবাসার পত্র অভিনেতা ফারুকীর

ইলহামের প্রতি ভালোবাসার পত্র অভিনেতা ফারুকীর

প্রখ্যাত নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ২০ বছর ধরে ক্যামেরার পেছনে কাজ করা চলচ্চিত্র নির্মাতা । অভিনেতা হিসেবে অভিষেক হলো মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। প্রথমবার অভিনয় করেছেন নিজের নির্মিত সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’ ওয়েব ফিল্মে।

নিজস্ব ঢঙে নির্মাতা অভিনেতা ফারুকী তার এই নতুন পরিচয়ের ব্যাখ্যা করেছেন। নির্মাতা ফারুকীর মতে, এই ছবিটি মূলত আমাদের মেয়ে ইলহামের প্রতি ভালোবাসার অথবা সকল মেয়ের উদ্দেশ্যে তার মায়ের ও বাবার ভালোবাসার পত্র।

সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’র ২৮তম বুসান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উত্সবে প্রিমিয়ার হবে। সিনেমাটি উত্সবের মর্যাদাপূর্ণ জিসোক প্রতিযোগিতায় রয়েছে। সিনেমাটি গল্প ঢাকায় বসবাসরত চলচ্চিত্র নির্মাতা ফারহান এবং অভিনেত্রী তিথি দম্পতিকে কেন্দ্র করে। তাদের বিয়ের অনেক বছর পেরিয়ে যাওয়ায় সন্তান নিতে সামাজিক চাপে থাকে তারা। এক পর্যায়ে তিথি গর্ভধারণ করে কিন্তু তার গর্ভাবস্থার শেষের দিকে একটি ঘটনা ঘটে।

নিজের এই অভিনয়ের সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে ফারুকী আরও বলেন, আমাদের মেয়ে ইলহাম যখন বড় হবে এবং ছবিটি দেখার সুযোগ পাবে। আশা করি সে কানে ফিসফিস করে আমাকে বলতে শুনবে তুমি এই পৃথিবীতেই এসেছো। এখানে পরিবর্তন আনার যথাসাধ্য চেষ্টা করো, যাতে তুমি যেখানে এসেছো তার চেহারা ভিন্ন পৃথিবীতে তোমার সন্তানরা আসতে পারে।

এবারে অভিনেতা হিসেবে তার নতুন চলচ্চিত্রের প্রদর্শনী হবে। এর আগে নির্মাতা বুসান চলচ্চিত্র উত্সবে পুরস্কৃত হয়েছেন নিজের নির্মিত চলচ্চিত্রে। কিন্তু প্রিয় জুরী বা বিভিন্ন ভাষাভাষী একাধিক নির্মাতার সাথে ফারুকীর শখ্য পুরনো। তারাও নতুন এক অভিনেতাকে দেখবেন। গল্পটিতে ফারুকী-তিশার বাস্তব জীবনের প্রতিফলন রয়েছে। মোস্তফা সরয়ার ফারুকী নিজের পরিচালিত নতুন ছবির নাম রেখেছেন জাপানের কিংবদন্তী চলচ্চিত্রকার আকিরা কুরোসাওয়ার স্মৃতিগ্রন্থ সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’ থেকে। মুখ্য ২ চরিত্র ফারহান ও তিথি মূলত তারাই। ফারুকী ও তিশা যৌথভাবে লিখেছেন চিত্রনাট্য ওটিটি প্ল্যাাটফর্ম চরকির জন্য ছবিটি প্রযোজনা করেছেন রেদওয়ান রনি।

সংসার ভাঙনের সিঙ্গেল জীবনেই শ্বেতা তিওয়ারি

অভিনেত্রী তিশা এই কাজটি প্রসঙ্গে বলেন, নারীর জন্য প্রশ্নের যেন শেষ নেই। নারীরা বরাবরই বিভিন্ন প্রশ্নবাণে জর্জরিত হয় এখন সময় এসেছে, আমাদের নারীদের পক্ষ থেকে কিছু প্রশ্ন ছুঁড়ে দেওয়ার। সেজন্য একজন নারী হিসেবে আমি এ ধরনের গল্প আরও বেশি দেখতে চাই। সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফিতে আরও অভিনয় করেছেন ইরেশ যাকের, শরাফ আহমেদ জীবন, ডলি জহুরসহ অনেকে।

উল্লেখ্য যে, মোস্তফা সরয়ার ফারুকী দেশের একাধিক গুণী নির্মাতাকে এক করেছেন তার মিনিস্ট্রি অব লাভ নামের একটি প্রজেক্টে। মূলত দেশে এই ধারণা নিয়ে নাটক-সিনেমা নির্মাণের প্রচলন প্রথম শুরু করেন ফারুকীই। উপমহাদেশে এই ধরনের একচ্ছত্র হয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ বা কাজ করার প্রচলন রয়েছে। বাংলাদেশেও সৈয়দ শাওকীসহ একাধিক নির্মাতারা জোটবদ্ধ হয়ে কাজ শুরু করেছেন। তিনি দীর্ঘদিন ভাই বেরাদার’ নামে একটি স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেলে ধারাবাহিক ভাবে কাজ করেছেন। সেই ভাই বেরাদার’ প্লাটফর্ম থেকে একাধিক নাম উঠে এসেছে।

2 thoughts on “ইলহামের প্রতি ভালোবাসার পত্র অভিনেতা ফারুকীর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *