স্বাস্থ্য ও পুষ্টি

রসুনের উপকারিতা কি

রসুন বাংলাদেশে একটি ঐতিহ্যবাহী ও প্রচুরমাত্রায় ব্যবহৃত খাদ্যজাতীয় পদার্থ। বিভিন্ন রকমের রান্নার স্বাদ বাড়াতে সমৃদ্ধ আকর্ষণ সৃষ্টি করায় র-সুন অত্যন্ত জনপ্রিয়। বলিউটিফুল ফালোপিয়ান টিউব এবং মিথোকন্ড্রিয়াতে রয়েছে প্রচুর পোষক উপাদানের সমৃদ্ধ স্তর, যা রসুনের উপকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে।আজকে আলোচনা করব রসুনের উপকারিতা কি?

রসুনের উপকারিতা কি

রসুনের গুণাগুণ সম্পর্কে জানা যায় পাঁচ হাজার বছর আগে থেকেই । রসু-ন এর বোটানিক্যাল নাম হলো Allium Salivan linn। র-সুন যেমন উষ্ণ, তেমনি স্নিগ্ধ এটি শরীরকে গরম রাখে। রসুন এন্টিবায়োটিক, সর্দি কাশি সারায়। একজিমা দূর করে, ঘাম হতে সাহায্য করে, কোলেস্টেরল ও রক্ত শর্করা কমায় র-সুন। আবার দুধে রসুনের রস পড়লে ছানা হয় না।

কাঁচা রসুন খাওয়ার নিয়ম

উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা কমবে খালি পেটে রসুন খেলে। এটি রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে পারে এবং লিভার এবং মূত্রাশয়ের কার্যকারিতা উন্নত করতে পারে। কাঁচা রসুন রক্তে থাকা ক্ষতিকর কোলেস্টেরল, টোটাল কোলেস্টেরল এবং এলডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। কাজেই রসুন খেলে হৃদরোগ, স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমবে।

রসুনের অপকারিতা

রসুনের কোন প্রকার অতিরিক্ত ব্যবহার করার আগে চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া, কেউই রসুনের ক্ষেত্রে কোন ধরনের এলার্জি বা অসুস্থতা অনুভব করতে পারে, এবং এটির প্রতি অস্ত্রোপচার বা আদিবাসী উপকারিতা গুলি নিয়ন্ত্রণে থাকতে গুরুত্বপূর্ণ।

রসুন খেলে কি হয়

রসুনের এর গন্ধ পারদের মতো সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। শারীরিক বিভিন্ন সমস্যায় রসুন বেশ কার্যকর যেমন:- হাড়ের রোগ, চর্মরোগ, উচ্চরক্তচাপ, স্মৃতিশক্তি হ্রাস, কৃমি, প্রস্রাবে সংক্রমণ ইত্যাদি। এক বা ২ কোয়া রসুন গরম দুধের সঙ্গে খেলে শরীরের জড়তা দূর হয় এবং এতে সামান্য জ্বরেও উপকার পাওয়া যায়। আবার পেটে গ্যাস হলেও রসুনের রস উপকারী। মাথাব্যথা উপশম হয় রসুনের রসের শ্বাস নিলে। রসুন দিয়ে খাঁটি সরিষার তেল গরম করে মালিশ করলে বাতের ব্যথা দূর হয়।

রসুনের এর রাসায়নিক উপাদানগুলো হলো:- Organic sulphide, sulphar bearing amino acid, Essential oil. রসুন পরজীবী ধ্বংস করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, মানসিক চাপ কমায়, শ্বাসকষ্ট সারায়, স্নায়ুবিক সমস্যা রোধ করে এবং যকৃতের কর্মক্ষমতা বাড়ায়। রসুনের মধ্যে সালফাইড থাকার কারণে এটি জীবাণুনাশক হিসাবে কাজ করে। এর ই-কোলাই ও টাইফয়েডের জীবাণু ধ্বংস করার ক্ষমতা আছে। রসুনে থাকা ডাই-অ্যালাইন সালফাইড ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে।

অ্যাকশন সিনেমায় যুক্ত সানজিদা শেখ

সমীক্ষায় দেখা গেছে, রসুনের এলিসিন নামক পদার্থটি দেহের ওজন বাড়া প্রতিহত করে। এছাড়াও নিউইয়র্ক স্টেট ইউনির্ভাসিটির অধ্যাপক ডক্টর এরিক ব্লক রসুনের মধ্যে কিছু দ্রব্যের সন্ধান পেয়েছেন যা রক্ত জমাট বাঁধা দূর করে।

রসুনের সবচেয়ে সক্রিয় এজেন্টটির নাম এজোনাইন। এটি অনুচক্রিকার পিঠের কোষকে এমনভাবে পরিবর্তন করে যে, এগুলো আর আঠালো থাকে না। তাই জমাট বেঁধে পিণ্ডও তৈরি হয় না। এ প্রসঙ্গে ডা. ব্লক বলেন, রসুনের গোটা কোয়া খাওয়াই উত্তম। ওষুধের জনক হিপোক্রেটস বলেছেন, বনৌষধির মধ্যে প্রথম স্থানই রসুনের। শরীর ও মনের সার্বিক উন্নতি ঘটায় রসুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *