শাকিব খানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ…
শাকিব খানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ…
অপারেশন অগ্নিপথ সিনেমার প্রযোজক রহমত উল্লাহ, চিত্রনায়ক শাকিব খানের বিরুদ্ধে অসদাচরণ ও ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন। বুধবার বিকালে চলচ্চিত্রের তিন সমিতির কাছে লিখিত অভিযোগ দেন তিনি।
লিখিত অভিযোগটি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ আক্তার। অভিযোগে ২০১৭ সালে ”অপারেশন অগ্নিপথ” সিনেমার চিত্রায়নের সময় শাকিব খানের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দিয়েছেন রহমত উল্লাহ।
অভিযোগ পত্রে দাবি করা হয়, শুটের সময় চিত্রনায়ক শাকিবকে নিয়মিত পতিতালয়ে নিয়ে যেতে হতো, আর তা না হলে তার হোটেল কক্ষে অস্ট্রেলিয়ান যৌনকর্মীদের নিয়ে আসতে হতো, কখনো কখনো একাধিকবার। এই ব্যাপারটি ছিল প্রতিদিনের রুটিন। এসব যৌনকর্মীদের মোটা অঙ্কের পারিশ্রমিক আমাদেরকেই দিতে হতো।
এক জন সহ-প্রযোজককে ধর্ষণের অভিযোগ এনে অস্ট্রেলিয়ায় একটি মামলাও করা হয়। (মামলা নম্বর: NSW Police reference no: E ৬২৪৯৪৯৫৯)। সেই ঘটনার সূত্র ধরে অভিযোগে রহমত উল্লাহ আরও বলেন, একবার তিনি আমাদের একজন নারী সহ-প্রযোজককে কৌশলে ধর্ষণ করেন। ভুক্তভোগী ওই নারীকে তিনি অত্যন্ত পৈশাচিকভাবে নির্যাতন করেন।
গুরুতর জখমসহ রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছিল। তখন এ ব্যাপারে অস্ট্রেলিয়ান পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। নির্যাতিতা নিজেও একজন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নারী। আমি সেই ফৌজদারি অভিযোগের সাক্ষী ছিলাম। এই ঘটনার পর তিনি এবং তার পরিবার সামাজিকভাবে যেই গ্লানি এবং কুৎসার শিকার হন, তা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। ধর্ষণের বিচার চাইতে গিয়ে একটা পর্যায়ে তার নিজের ও তার পরিবারের টিকে থাকাটাই অসম্ভব হয়ে পড়ে। ঐ আমরা যখন সহকর্মীকে নিয়ে হাসপাতালে ব্যস্ত, শাকিব খান সেইদিন কাউকে কিছু না জানিয়ে অস্ট্রেলিয়া থেকে চুপিসারে চলে যান। এরপর থেকে শাকিবের সঙ্গে বিভিন্ন সময় যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছি।
পরবর্তীতে ২০১৮ সালে তিনি আবার অস্ট্রেলিয়ায় এলে ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন। সামাজিক চাপে এবং আরও নিগ্রহের ভয়ে নির্যাতিতা প্রকাশ্যে মুখ খুলতে রাজি না হওয়ায় শাকিব সেই যাত্রায় ছাড়া পেয়ে যান।
অভিযোগের বিষয়ে চিত্রনায়ক শাকিব খানের বক্তব্য জানতে তার মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। এছাড়া তার মোবাইলে মেসেজ পাঠানো হলেও তিনি কোনো উত্তর দেননি।