মৃত্যুর জন্য ঘর ভাড়া
মৃত্যুর জন্য ঘর ভাড়া
বাড়িটি ভারতের বারাণসীতে অবস্থিত। বাড়িটির নাম মুক্তি ভবন। মৃত্যুর আশায় মানুষ এখানে আসে। বাড়ির সব কক্ষে মানুষ মৃত্যুর অপেক্ষায় থাকে। এই মুক্তি ভবনটি নির্মিত হয় ১৯০৮ সালে। এই বাড়িতে যারা আসেন তাদের নাম একটি বইয়ে লেখা থাকে। দাবি করা হয় যারা এই বাড়িতে আসে তারা কয়েক দিনের মধ্যেই মারা যায়। প্রতি বছর বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সনাতন ধর্মে বিশ্বাসী বহু মানুষ এই মুক্তি ভবনে আসেন তাদের শেষ কয়েক দিন কাটাতে। ইংরেজ আমলের এই বাড়িতে কক্ষ রয়েছে ১২টি। মুক্তি ভবনের সঙ্গে ১ টি মন্দির রয়েছে, যেখানে একজন পুরোহিতও থাকেন।
মৃত্যুর অপেক্ষায় থাকা যে কেউ এই বাড়ির একটি কক্ষে সর্বোচ্চ ২ সপ্তাহ পর্যন্ত থাকতে পারবেন। এসব কক্ষে যারা জায়গা পান তারা শারীরিক কারণে মৃত্যু হবে বলে আশা তাদের। দৈনিক ভাড়া ৭৫/- টাকা এই মুক্তি ভবনের একটি কক্ষের। এছাড়াও মুক্তি ভবনের জন্য কিছু নির্দিষ্ট গায়ক রয়েছে। যাতে তারা শান্তিতে শেষ নিঃশ্বাস নিতে পারেন মন্দিরের পুরোহিত তাদেরকে প্রতিদিন সকালে বিকেলের পূজার পরে মৃত্যুর অপেক্ষায় থাকা লোকদের দেহে গঙ্গাজল ছিটিয়ে দেন। যারা মারা যাচ্ছে তাদের নাম উচ্চারণ করে পূজাও হয়।
এই ভবনে আসার দুই সপ্তাহের মধ্যে মৃত্যু না হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে ঘর থেকে বের হতে হয়। তাদের এটি করতে হয়, তারা সাধারণত কোনো হোটেল বা হসপিসে শেষ করেন, যেখানে কাশি থেকে মৃত্যুর সম্ভাবনা থাকে। আগেও বারাণসী বা কাশীতে মুক্তি ভবনের মতো আরও অনেক বাড়ি ছিল। সময়ের সঙ্গে সেগুলো ভেঙে দেওয়া হয়েছে এবং বাণিজ্যিক প্রকল্প তৈরি করা হয়েছিল।