স্বাস্থ্য ও পুষ্টি

ঠোঁট গোলাপি করার উপায়

অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস, অতিরিক্ত প্রসাধনীর ব্যবহার, ও জীবনযাত্রার কারণে ঠোঁটে কালচেভাব দেখা দেয়।

প্রাকৃতিক উপাদানের এই কালচেভাব কমানো সম্ভব।
বিটরুট:- বিটরুট ঠোঁটে মালিশ করে ৫ থেকে ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন, এতে ত্বক তা শুষে নেবে। কিছুক্ষণ পরে পানি দিয়ে ঠোঁট ধুয়ে ফেলুন কয়েক দিন ব্যবহারে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।

হলুদ:- হলুদ ত্বক উজ্জ্বল করার গুণের জন্য সুপরিচিত। আধা চা-চামচ হলুদও আধ চা-চামচ দুধ মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। মিশ্রণটি নিয়মিত ঠোঁটে মালিশ করলে কালচেভাব দূর হয়।

শসা:- শসার রস শীতলকারক ও ত্বকের কালচেভাব দূর করতে পারে। ত্বকের শুষ্কতা দূর করে আর্দ্রতা বজায় রাখতেও সহায়তা করে।

লেবু:- লেবুর ব্লিচিং ঠোঁটের কালো দাগ কমায় ও মসৃণভাব আনে। লেবু ঠোঁটে ঘষা কালচেভাব দূর করতে সহায়ক।

চিনি:- অল্প চিনির দানা এক চামচ মাখনের সঙ্গে মিশিয়ে স্ক্রাব তৈরি করে দিনে কয়েক বার ঠোঁট মালিশ করুন। চিনি খুবই ভালো এক্সফলিয়েটর যা ত্বকের মৃত কোষ দূর করতে সহায়ক।

জলপাইয়ের তেল:- জলপাইয়ের তেল ঠোঁটের রং হালকা করে পাশাপাশি ঠোঁটের আর্দ্রতা বজায় রাখে এবং মসৃণ করে তোলে। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ঠোঁট জলপাইয়ের তেল দিয়ে মালিশ করা উপকারী।

অ্যালোভেরা:- তাজা অ্যালোভেরা ঠোঁটে মালিশ করুন শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন উপকার পাবেন। অ্যালোভেরা ত্বকের মেলানিন কমায়।

নারিকেল তেল:- আঙ্গুলের সাহায্যে প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে নারিকেল তেল ঠোঁটে ব্যবহার করুন কালচেভাব কমে যাবে। ঠোঁটের কালচেভাব দূর করার সবচেয়ে সস্তা ও সহজ উপায় হল এই নারিকেল তেল ব্যবহার।

গোলাপ জল:- আধ চা-চামচ গোলাপ জলের সঙ্গে অল্প মধু মিশিয়ে দিনে ২ বার ঠোঁটে ব্যবহার করুন। নিয়মিত ব্যবহার করুন কালোদাগ দূর হবে।

3 thoughts on “ঠোঁট গোলাপি করার উপায়

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *