হজম স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ৫ মসলা
মসলা হজমের গণ্ডগোল দূর করতে সহায়ক।
হজমে গণ্ডগোল বাধলে কোনো কিছুই ভালো লাগে না। কথায় বলে, পেটে খেলে পিঠে সয়।
খাবার খাওয়ার পর গ্যাসের সমস্যা থেকে শুরু করে নানান যন্ত্রণা দেখা দিলে কোনো কিছুতেই তৃপ্তি মেলেনা। ভরা পেটে মন ভালো থাকে। টেক্সাসের গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্ট কেনেথ ব্রাউন এসব সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে কিছু মসলা বেশ ভালো কাজ করে, তিনি এসব মসলাকে ‘অন্ত্রবান্ধব’ বলে উল্লেখ করেন।
আদা:- হজম শক্তি উন্নত করার উপাদান রয়েছে এই মসলায়। পেট খারাপ করলে আদা চা পানের রেওয়াজ রয়েছে। যা কিনা গ্যাসের কারণে হওয়া পেটফোলা ও অস্বস্তি কমাতে পারে, আরও রয়েছে প্রাকৃতিক প্রদাহরোধী নানা উপাদান।
হলুদ:- যা কিনা হতাশা, আর্থ্রাইটিস ও ব্যায়ামের পর ক্ষতি পোষাতে সাহায্য করে। সোনালি মসলা হিসেবে খ্যাত প্রদাহরোধী উপাদান কারকিউমিন সমৃদ্ধ। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে অন্ত্রের সুস্থতায় হলুদ কার্যকর ভূমিকা রাখে। ইরিটেবল বাওয়েল সিন্ড্রোম (আইবিএস) উন্নত করতে পারে।
ইরানের তেহরান ইউনিভার্সিটির এক গবেষণার ফলাফলে জানানো হয়, রান্নায় ব্যবহার করে কিংবা ওষুধ হিসেবে গ্রহণের মাধ্যমে হলুদ আইবিএস’য়ের সমস্যা উত্তরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
মৌরি:- এটা যে হজম প্রক্রিয়াকেও উন্নত করে সেটা হয়ত অনেকেরই অজানা। খাওয়ার পরে মৌরি চিবাতে বেশ ভাল লাগে। ডা. ব্রাউন পরামর্শ দেন, যারা আইবিএস সমস্যায় ভুগছেন তাদের উচিত হবে রান্নায় মৌরি ও হলুদ ব্যবহার করা। ইতালির ‘ইউনিভার্সিটি মেডিকেল স্কুলেকরা গবেষণার উদ্ধৃতি দিয়ে এই চিকিৎসক আরও জানান, অংশগ্রহণকারীদের যাদের মধ্যে স্বল্প ও মাঝারি মাত্রায় আইবিএস সমস্যা ছিল, খাবারে মৌরি ব্যবহারের ফলে তাদের এই সমস্যার উল্লেখযোগ্য হারে উন্নতি হতে দেখা গেছে।
ধনিয়া:- শুকনা এই মসলায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ধনিয়াতে রয়েছে প্রদাহরোধী উপাদান। যা হজমে উপকার করে ও অন্ত্রের কার্যক্রম উন্নত করতে সহায়ক। ইউনিভার্সিটি ব্রুনেই করা গবেষণায় জানাযায়, যকৃত থেকে বিভিন্ন হজম রস নিঃসরণে সাহায্য করতে পারে ধনিয়া। ফলে খাবার হজম দ্রুত হয়। এবং অল্প সময়ের মধ্যে হজমতন্ত্র দিয়ে খাবার পরিবাহিত হয়ে যায়।
দারুচিনি:- খাবারের স্বাদই শুধু বাড়ায় না, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও প্রদাহরোধী উপাদানের জন্য সার্বিকভাবে স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী, বলে জানান ডা. ব্রাউন। তিনি বলেন গবেষণায় দেখা গেছে পেটফোলা সমস্যা ও হজমশক্তি উন্নত করার মাধ্যমে অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে দারুচিনি।
বেইকড করা খাবারেই শুধু নয়, স্বাদ বাড়াতে, হজমের উন্নতিতে ওটস, পুডিং বা ফলের ওপর দারুচিনি গুঁড়া ছিটিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
Pingback: নাক খোঁটাই কেন আমরা - Amader Khabar