স্বাস্থ্য ও পুষ্টি

বিচ্ছেদ ঠেকানো যাবে যেভাবে

বিচ্ছেদ ঠেকানো যাবে যেভাবে
বিচ্ছেদটা সুস্থভাবে খুব কমই হয় বিচ্ছেদে দুজনের জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা অন্য জীবনগুলোও দিকে নজর দিন। আপনি বা আপনারা জিতে ঝাবেন হেরে ঝাবে ত্বিতীয় পক্ষ। সঙ্গীর মনের অসুখ কিংবা ভালো লাগা মন্দ লাগা বোঝার ক্ষমতা অনেকেরই নেই। এক ছাদের নিচে থাকলেও সারাক্ষণ অভিযোগ আর অভিমানে সম্পর্কের শেষ পরিণতি হয় বিবাহ বিচ্ছেদ। বিচ্ছেদ ছাড়া আর কোনো পথ নেই যখন মনে হবে, তখনও পরিস্থিতি বদলে ফেলার উপায় আছে। আসুন নিন ভাঙতে বসা বিয়ে টেকানোর কৌশল।

## একটি তালিকা তৈরি করুন আপনার সঙ্গী আপনাকে নিয়ে যা যা অভিযোগ আছে। এতে আপনি সহজে বুঝতে পারবেন সম্পর্কের অবনতির সূত্রপাত কোন জায়গা থেকে। আপনার কোন আচরণে সঙ্গী আঘাত পায় সেগুলো সহজ এড়ানো যাবে তালিকা তৈরি করে নিলে।

## গরম মেজাজে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত নয়, ঠাণ্ডা মাথায় সমাধান খুঁজুন। মানসিকভাবে অস্থির হয়ে পড়াটাই তো স্বাভাবিক যদি আপনার সঙ্গী আপনাকে বিচ্ছেদের হুমকি দিয়ে ফেলে কিংবা সে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে। তাহলে কিন্তু তা বুঝতে দেয়া যাবে না। মনকে শান্ত করার চেষ্টা করুন, নিজেকে শান্ত দেখানোর চেষ্টা করুন ও ঠাণ্ডা মাথায় সমাধান খুঁজুন।

## ভালোবাসার জন্য নয়, শুধু মাত্র অপরাধ বোধের কারণে টিকবে সেই সম্পর্ক। আপনার সঙ্গীকে অপরাধ বোধে ভোগানোতে ভিকটিম গেম খেলবেন না। এতে সঙ্গী বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এলেও আপনার প্রতি শ্রদ্ধাবোধ থাকবে না। এরকম পরিস্থিতিতে নিজেকে হেরে যাওয়া মানুষ না ভেবে নিজের ইতিবাচক দিকগুলো নিয়ে ভাবুন, সঙ্গীকেও সেই ধারণা দিন। আপনাকে ছেড়ে গেলে কী কী অসুবিধা হতে পারে সেটা ভাবার সুযোগ থাকবে তার। কাজের মাধ্যমে ভালোবাসা প্রমাণ করুন। ছোট ছোট কাজে সঙ্গীর প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করুন। সামান্য এসব কাজেই সম্পর্কের তিক্ততা কমে যায় অনেকটাই। জোর করে সম্পর্ক টেকানোর চেষ্টা করে লাভ হবে না, সেরকম সম্পর্ক কে যায় বলুন? বরং তার সঙ্গে থাকা সময়টা আপনার কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা জানিয়ে দিন।

## নিজেকে নিজের সবচেয়ে ভালো ‘ভার্সন’ হিসেবে তৈরি করুন। নিজেকে পরিপাটি রাখুন, আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে তুলুন। প্রতিযোগিতাটা নিজের সঙ্গে নিজের হোক। ইতিবাচক মনোভাবের বন্ধু ও পরিচিতজনদের থেকে অনুপ্রেরণা নিন। এতে সম্পর্কের মোড় ঘুরে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।

## ভুল থেকেই শিখতে হয়, নিজেদের মাঝে কোনো ভুল বোঝাবুঝি আছে কিনা কিংবা আপনার সঙ্গী মনে কোনো কষ্ট বয়ে বেড়াচ্ছেন কিনা তা জানার চেষ্টা করুন। ঠিক কোন কারণে আপনার সঙ্গী বিচ্ছেদ চাইছেন তা জানার চেষ্টা করুন। নিজের মনে অতীতের কোনো ঘটনার ক্ষোভ জমে আছে কিনা তাও ভাবুন। অতীতে যা হয়েছে সব বাদ দিন, ভুলে যান। সামনের দিনগুলো নিয়ে ভাবুন।

## যদি কখনো মনে হয় আপনি ভালোবাসা পাওয়ার যোগ্য নন, তাহলে আপনি ভুল। মন থেকে সব ধরণের নেতিবাচক চিন্তা ঝেড়ে ফেলে দিয়ে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে তুলুন।

## দুজনেই কিছু ছাড় দিন, একে অপরকে বোঝার চেষ্টা করুন। রাগের কারণে সম্পর্ক ধ্বংস হয়ে যায়, রাগ নিয়ন্ত্রণ করুন, দুজনই ইতিবাচক থাকুন। সঙ্গীর প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করুন। নিজেদের দূরে রাখার চেষ্টা করুন নেতিবাচক চিন্তা ও সিদ্ধান্ত থেকে।

ত্বক ও চুলও ভালো রাখতে বিটের রস!

এগুলোকে যে কোনো সম্পর্কের মৌলিক ভিত্তিও বলা হয়। পারস্পারিক বিশ্বাস, ভালোবাসা এবং বন্ধুত্বপূর্ণ বোঝাপড়ার উপর সম্পর্কের ভালো মন্দ নির্ভর করে। এর কোনো একটির ঘাটতি দেখা দিলেই সম্পর্ক বিচ্ছেদের দিকে যেতে থাকে। তখন আর কোনো টোটকাই কাজ করে না। যেতে পারেন পেশাদার মনোরোগ চিকিৎসক ও কাউন্সেলরদের কাছেও।

2 thoughts on “বিচ্ছেদ ঠেকানো যাবে যেভাবে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *