জাতীয়

উড়ালসড়কে উঠবেন নামবেন খরচ কত

উড়ালসড়কে উঠবেন নামবেন খরচ কত

রোববার সকাল ছয়টা থেকে ঢাকায় উড়ালসড়ক দিয়ে মানুষ চলাচল করতে পারবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার এর উদ্বোধন করবেন। এই উড়ালসড়কে বিভিন্ন জায়গা থেকে উঠা যাবে এবং নামা যাবে। যানজট পেরিয়ে একবার উঠতে পারলে খুব কম সময়ে পৌঁছে যাওয়া যাবে উড়ালসড়কের অপর প্রান্তে।

ধানমন্ডি, কাঁঠালবাগান, গ্রিনরোড, শাহবাগ, সেগুনবাগিচা, মোহাম্মদপুর, ফার্মগেট ও পুরান ঢাকা থেকে এসে উড়ালসড়কে উঠতে চান তাহারা বিজয় সরণি ওভারপাস অথবা তেজগাঁও এলাকায় যেতে হবে।

যে ওভারপাসটি বিজয় সরণিতে র‍্যাংগস ভবন ভেঙে তৈরি করা হয়েছে, সেটিতে উঠে তেজগাঁওয়ে যাওয়ার আগেই উড়ালসড়কের সঙ্গে সংযোগ রয়েছে। তেজগাঁও থেকে বিজয় সরণির দিকে আসতে ওভারপাসে উঠার জন্য আরেকটি সংযোগ রয়েছে। রাজধানীর দক্ষিণ পশ্চিম ও দক্ষিণ-পূর্বাংশের মানুষের জন্য উড়ালসড়কে উঠার এই পথটিই সহজ। তবে যাঁরা বনানী যেতে পারবেন, তাঁরা বনানী রেলস্টেশনের সামনে দিয়ে উড়ালসড়কে উঠতে পারবেন।

নামার জন্য উত্তর দিক থেকে এসলে সহজ পথ হবে ফার্মগেটের ইন্দিরা রোড। মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি, মিরপুর ও নিউমার্কেটগামী যানবাহনের ইন্দিরা রোডে নামাই সুবিধাজনক।

ঢাকা উড়ালসড়কে ওঠানামার আরও পথ রয়েছে।
দক্ষিণ অভিমুখী উঠার স্থান:-
# হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দক্ষিণে কাওলা।
# প্রগতি সরণি, বিমানবন্দর সড়ক ও আর্মি গলফ ক্লাব।

দক্ষিণ অভিমুখী নামার স্থান:-
# বনানী কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউ।
# মহাখালী বাস টার্মিনালের সামনে।
# ফার্মগেট প্রান্তে ইন্দিরা রোডের পাশে।

উত্তর অভিমুখী উঠার স্থান:-
# বিজয় সরণি ওভারপাসের উত্তর ও দক্ষিণ লেন।
# বনানী রেলস্টেশনের সামনে।

উত্তর অভিমুখী নামার স্থান:-
# মহাখালী বাস টার্মিনালের সামনে।
# বনানী কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউর সামনে বিমানবন্দর সড়ক।
# কুড়িল বিশ্বরোড
# বিমানবন্দর তৃতীয় টার্মিনালের সামনে।

এক গণবিজ্ঞপ্তিতে শুক্রবার সেতু বিভাগের জানানো হয়, ঢাকা উড়ালসড়কে ২ ও তিন চাকার যানবাহন চলাচল করতে পারবে না। মোটরসাইকেল বা অটোরিকশা নিয়ে উড়ালসড়কে উঠার চিন্তা করবেন না। উড়ালসড়কে গাড়ি নিয়ে গিয়ে দাঁড়ানো ও গাড়ি থেকে নেমে দাঁড়িয়ে ছবি তোলা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। উড়ালসড়কে উঠতে ও চলাচল করতে পারবেন না পথচারীরা।
সেতু বিভাগ বলছে, মূল উড়ালসড়কে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার গতিতে যানবাহন চলাচল করতে পারবে। উঠা-নামার স্থানে (র‍্যাম্প) গতিসীমা ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার সর্বোচ্চ। উড়ালসড়কে চলাচল করতে যানবাহনকে টোল দিতে হবে।

টোল কত:-
শ্রেণি ০১:- স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিক্যাল, কার, ট্যাক্সি, মাইক্রোবাস (১৬ সিটের কম) ও হালকা ট্রাক (৩ টনের কম) টোল ৮০/- টাকা।
শ্রেণি ০২:- মাঝারি ট্রাক (৬ চাকা পর্যন্ত) টোল ৩২০/- টাকা।
শ্রেণি ০৩:- ট্রাক (৬ চাকার বেশি) টোল ৪০০/- টাকা।
শ্রেণি ০৪:- সব ধরনের বাস (১৬ সিট বা তার বেশি) টোল ১৬০/- টাকা।

১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ঢাকা উড়ালসড়ক। এই উড়ালসড়ক হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে কাওলা থেকে রেললাইন ধরে তেজগাঁও, মগবাজার, কমলাপুর হয়ে যাত্রাবাড়ীর কাছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালীতে গিয়ে শেষ হবে। আজ শনিবার কাওলা থেকে তেজগাঁও পর্যন্ত অংশে চলাচল উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি-বেসরকারি যৌথ বিনিয়োগের (পিপিপি) ভিত্তিতে ঢাকার দ্রুতগতির (ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে) উড়ালসড়কের এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ সেতু বিভাগ।

বিদ্যুৎ চুরি মহোৎসব হাওরের হাউজবোটে

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পটি ২ ভাগে বিভক্ত মূল নির্মাণকাজ ও সহযোগী কাজ। যারমধ্যে মূল নির্মাণকাজে ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা। এর মধ্যে দুই হাজার ৪১৩ কোটি টাকা সরকার ব্যয় করছে। বাকিটা খরচ করছে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান।

জমি অধিগ্রহণ, ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন ও পরামর্শকদের পেছনে ব্যয়ে আলাদা একটি প্রকল্প আছে, এর পুরো অর্থই ব্যয় করছে সরকার। বর্তমানে এই প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে চার হাজার ৯১৭ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দুটি প্রকল্পে ব্যয় দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৮৫৭ কোটি টাকা। নির্মাণকাল ধরা ছিল সাড়ে তিন বছর। তবে সময়মতো প্রকল্প বাস্তবায়ন করা যায়নি।

One thought on “উড়ালসড়কে উঠবেন নামবেন খরচ কত

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *