চাঁদের বুকে স্লিপিং মুডে ল্যান্ডার বিক্রম ও রোভার প্রজ্ঞান
চাঁদের বুকে স্লিপিং মুডে ল্যান্ডার বিক্রম ও রোভার প্রজ্ঞান
চন্দ্রযান-৩ এর ল্যান্ডার বিক্রম’ চাঁদের বুকে সোমবার সকাল ৮টার দিকে ঘুমিয়ে গেছে বলে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন (ইসরো) জানিয়েছে। সম্ভবত ২২ সেপ্টেম্বরের দিকে স্লিপিং মুড থেকে ল্যান্ডার বিক্রম ও রোভার প্রজ্ঞান জেগে উঠতে পারে। ইতিহাসের প্রথমবারের মতো চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে ভারতের চন্দ্রযান-৩ এর ল্যান্ডার বিক্রম গত ২৩ আগস্ট সন্ধ্যায় সফল অবতরণ করতে সক্ষম হয়। ভারত এর মধ্য দিয়ে বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসেবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফলভাবে অবতরণের গৌরব অর্জন করে।
ইসরো বলেছিল, সৌরশক্তি ব্যবহার করে বিক্রম ও প্রজ্ঞানে থাকা সমস্ত যন্ত্রপাতি সচল থাকবে। মিশন শেষে ল্যান্ডার বিক্রম’ ও রোভার প্রজ্ঞান’ ফিরতে পারবে না। চাঁদে ১৪ দিন পর সূর্যাস্ত হলে ধীরে ধীরে নিস্তেজ হয়ে পড়বে তারা। চাঁদে যতক্ষণ সূর্য থাকবে ততক্ষণই তারা সক্রিয় থাকবে। যানগুলো চাঁদের মাটিতে ১৪ দিন ঘুরাফেরা করবে। এর মাধ্যমে তারা চাঁদে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবে ও তথ্য সংগ্রহ করবে। ১৪ দিন পর চাঁদে সূর্যাস্ত (পৃথিবীর হিসাবে ১৪ দিন চাঁদে সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত হতে সময় লাগে ) হলে ধীরে ধীরে নিস্তেজ হয়ে পড়ে তারা।
পদ্মা সেতু ট্রেন চলাচলের ১০ অক্টোবর
বিজ্ঞানী দেবীপ্রসাদ দুয়ারির বলেন, চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে ১৪ দিনের সকাল শেষে ১৪ দিনের অতিশীতল রাত শুরু হবে। চাঁদের দক্ষিণমেরুতে এই ১৪ দিন সূর্যরশ্মির একটি কণাও প্রবেশ করবে না। এই সময়টায় তাপমাত্রা নেমে যেতে পারে মাইনাস ৩০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত। এগুলো নিস্তেজ হওয়ার পর যে একেবারেই সচল করার কোনো উপায় নেই এমনটা ইসরো নিশ্চিত করেনি। বিক্রম এবং প্রজ্ঞান সচল থাকা নির্ভর করছে অনেক ‘যদি এবং কিন্তুর’ উপর। চন্দ্রযান-৩-এর যন্ত্রপাতির বিকল হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাই বেশি।
Good