অন্যরকম খবরতথ্য ও প্রযুক্তি

মাছেরও জ্বর হয়

মাছেরও জ্বর হয়

মাছ পানিতে বাস করে, এদের সবসময় পানিতে থাকতেই হয়। কিন্তু মাছেদের পানিতে বাস করেও কি এরা জ্বরে আক্রান্ত হয়?

আমাদের দেহের তাপমাত্রা মেপে জানতে পারি, আমাদের জ্বর হয়। আমাদের মস্তিষ্কের ভেতরে থাকা হাইপোথ্যালামাস নামের গ্রন্থির কারণে, আমাদের দেহে বারো মাস একটা নির্দিষ্ট তাপমাত্রা বজায় থাকে।

এটা সম্ভব হয় হাইপোথ্যালামাস থেকেই এক ধরনের রাসায়নিক তরল বেরিয়ে আসে, সেই রক্তে মিশে আমাদের শরীরের তাপমাত্রা সঠিক রাখতে সাহায্য করে এবং দেহের তাপমাত্রা বাড়তে দেয় না আবার কমতে বাঁধা দেয়। তবে দেহে কোনো জীবাণু প্রবেশ করে যদি হাইপোথ্যালামাসকে সাময়িকভাবে অকেজো করে ফেলে, তখন আবার দেহের তাপমাত্রা বাড়তেই থাকবে। এজন্যই আমাদের জ্বর হয়।

মোমবাতির দহন বিক্রিয়া

যেকোনো রোগের উপসর্গ হিসেবে জ্বর কে মূলত ধরা হয়। তবে ওষুধ খেলে দেহের ভেতরের সেই জীবাণু নষ্ট হয় ও হাইপোথ্যালামাস আবার পুনরায় চাঙ্গা হয়। তাতে আমাদের জ্বরও কমে যায় এবং দেহ সুস্হ হয়ে ওঠে।

আবার এমন প্রাণী মাছ, যারা তাদের দেহের তাপমাত্রা পরিবেশের তাপমাত্রার সাথে মানিয়ে চলে।

পরিবেশের (পানি) তাপমাত্রা বাড়লে মাছেদেরও দেহের তাপমাত্রাও বাড়বে। পানি সাধারণত ঠান্ডা ফলে মাছের দেহের তাপমাত্রা ও কম থাকে। অপরদিকে বাতাসের মতো ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাকের মতো অণুজীব পানিতেও রয়েছে। এইসব অণুজীব মাঝে মাঝে মাছের দেহে প্রবেশ করে তখন আমাদের মতো মাছের দেহের তাপমাত্রাও বেড়ে যায়। এবং মাছের দেহের তাপমাত্রা পরিবেশের (পানি) তাপমাত্রার চেয়ে বেশি হয়। বাতাসের মতো পানিতেও সব জায়গায় তাপমাত্রা সমান থাকে না।

উপরের দিকের পানির তাপমাত্রার চেয়ে গভীর পানিতে তাপমাত্রা কম থাকে। কোন কারণে মাছের দেহের তাপমাত্রা বেড়ে গেলে মাছ পানির উপরের দিকে উঠে আসে। কিছুটা আমাদের মতো জ্বর হলে আমরা যেমন চাদর বা কাথা গায়ে দিয়ে দেহের এবং পরিবেশের তাপমাত্রা সমান রাখার চেষ্টা করি ঠিক তেমন। মাছ উষ্ণ পানির দিকে চলে যায়, দেহের ও পরিবেশের তাপমাত্রা সমান হয়ে পড়ে এবং মাছেরাও আরাম পায়। তাই মাছেরও জ্বর হয় এবং এ থেকে আরাম পাওয়ার জন্য মাছ অনেক সময় পানির ভেতরে উঠা-নামা করে।

 

সূত্র:- প্রাণিবিজ্ঞান/ ভূপেন্দ্রনাথ স্যানাল.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *