যষ্টিমধু খাওয়ার উপকারিতা
যষ্টিমধু খাওয়ার উপকারিতা বিষয়ে জানার জন্য আমাদে খবর পেজে ভিজিট করার জন্য আপনাকে স্বাগত জানায়। যষ্টি-মধু অনেক রোগের জন্য মহা ঔষধ।বহুল প্রচলিত কথা সর্দি,কাশিতে এই মধু অত্যন্ত উপকারে আসে।তাই, আজ আমরা এই বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব|
যষ্টিমধু খাওয়ার উপকারিতা কি
হালকা সর্দি-কাশি শ্বাসনালি পরিষ্কার রাখতে যষ্টিমধু অত্যন্ত উপকারী। মরসুম বদলের সঙ্গে কাশি বা গলা খুসখুস শুরু হয়েছে। ভরসা রাখতে পারেন বিশেষ একটি গাছের মূলে, এই মূলে বা শিকড়ের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-মাইমাইক্রোবায়াল গুণ প্রহাদ নাশ করতে বেশ কার্যকর।
আরও পড়ুন: গ্রিন টি খাওয়ার সঠিক সময়
করোনার সময়েও এই যষ্টিমধুর ব্যবহার শুরু হয়েছিল ব্যাপক ভাবে। তবে শুধু সর্দি-কাশি নয়, প্রহাদ নাশ করতে, ভাইরাসজনিত সংক্রমণ সমস্যা দূরে রাখে এই যষ্টিমধু। অন্তঃসত্ত্বাদের চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে যষ্টিমধু খাওয়ার উচিত।
যষ্টিমধু খাওয়ার নিয়ম
যষ্টিমধু খাওয়ার উপকারিতা পাওয়া যায় এবং কীভাবে এটি খাবেন সে সম্পর্কে আমাদের জানিয়েছেন মিরপুর ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের পুষ্টিবিদ শরীফা আক্তার শাম্মী।
শরীফা আক্তার শাম্মী বলেন, বিভিন্ন পদ্ধতিতে যষ্টিমধু খাওয়া যায়-
ফুটন্ত পানিতে পরিমাণমতো যষ্টিমধু ভিজিয়ে ঠান্ডা করে মধুর সঙ্গে মিশিয়ে পান করতে পারেন।
দুধের সঙ্গে পান করা যায়।
পরিমাণমত শুধু গুঁড়াও খাওয়া যেতে পারে।
চায়ে দিয়ে পান করা যায়।
শেকড় চিবিয়ে রস খাওয়া যায়।
ফুসফুসের সমস্যায়:-
এই যষ্টিমধু বুকে জমা কফ সরাতে অত্যন্ত কার্যকর । যষ্টিমধু শুধু খাওয়াই নয় পানিতে যষ্টিমধু দিয়ে ভাল করে ফুটিয়ে, সেই পানির ভাপ নাক, মুখ দিয়ে প্রবেশ করাতে পারলে শ্বাসযন্ত্রের অনেক সমস্যাই নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
আরও পড়ুন : সঠিক নিয়ম মেনে জিরের পানি তৈরি
ত্বকের যত্নে:-
ত্বকের জন্যে বেশ উপকারী যষ্টিমধুর অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। দই, মধু এবং যষ্টিমধুর গুঁড়ো মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে মুখে মেখে রাখুন ১৫ থেকে ২০ মিনিট। এই প্যাক ত্বকের উজ্জ্বলতা বারাতে বেশ সহায়ক।
হজমের সমস্যায়:-
বাঙালি সারা বছরই পেটের রোগ বা হজমের সমস্যায় ভোগে। সকালে ঘুম থেকে উঠেই অ্যান্টাসিডের বোতলের দিকে হাত না বাড়িয়ে খেতে পারেন যষ্টিমধুর তৈরি চা। এই বিশেষ পানীয়টি অম্বল, গ্যাস, পেটফাঁপা ও বুকজ্বালার মতো কষ্ট নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
কী ভাবে তৈরি করবেন যষ্টিমধুর চা:
# প্রথমে পাত্রে পানি ফুটতে দিন।
# এ বার আঁচ একেবারে কমিয়ে বেশ কিছুটা যষ্টি-মধু দিয়ে ফুটতে দিন।
# ফুটতে ফুট-তে যখন পানির রং হালকা সোনালি হয়ে উঠলে চুলা বন্ধ করে দিন।
# ছেঁকে নিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন যষ্টি,মধুর চা।
শেষ কথা
পরিশেষে বলা যায়, যষ্টিমধুর খাওয়ার উপকারিতা কি তা আপনার এই আলোচনা থেকে বুঝতে পেরেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ সম্পূর্ণ বিষয়টি মনযোগ দিয়ে পড়ার জন্য।
Pingback: ত্বকে সরিষার তেলের উপকারিতা - amaderkhabar