ভ্রমণ

বেড়াতে যাওয়া বিপাকীয় রোগ ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমে

গবেষণায় জানা যায়, বছরে একবার ছুটিতে বেড়াতে গেলে হার্টঅ্যাটাকে মৃত্যুর আশঙ্কা ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমতে পারে। বছরে একবার ছুটিতে বেড়াতে যাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ উপকারী। ছুটিতে বেড়াতে গেলে শিশুরা বাইরের জগৎ সম্পর্কে জানতে পারে এবং যোগাযোগ তৈরি হয় বা শিশুকে মানসিকভাবে পরিণত করতে সাহায্য করে। ভ্রমণ হচ্ছে সাধারণ জ্ঞানের উৎস।

বেড়াতে যাওয়া বিপাকীয় রোগ ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমে

ছোটদের বার্ষিক পরীক্ষা শেষ, অফিসে কিংবা বাসায় বড়দের ছুটি নেওয়ার দিন আবার বছর প্রায় শেষ হতে চলল। গবেষণা বলে বছরে একবার ছুটিতে বেড়াতে যাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ উপকারী। শুধু বড়দের জন্য নয়, ছুটিতে বেড়াতে যাওয়া শিশুদের আনন্দের পাশাপাশি মানসিক বিকাশেও সহায়ক।

যুক্তরাষ্ট্রের এক গবেষণায় জানা যায়, বছরে একবার ছুটিতে বেড়াতে গেলে হার্টঅ্যাটাকে মৃত্যুর আশঙ্কা ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমতে পারে। এ ছাড়া ছুটি কাটালে বিপাকীয় রোগ, হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি ও কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে।

ছুটিতে বেড়াতে যাওয়া আবার খুব প্রয়োজন শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য গঠনে। এমনিতে ছুটির দিনগুলোতে শিশুদের বেড়াতে যাওয়ার আগ্রহও থাকে যথেষ্ট। আবার অনেক কর্মজীবী মা-বাবাই আছেন, এই বিশেষ দিনের জন্যও অপেক্ষা করেন।

আরও পড়ুন: হাওরে অতিথি পাখির কিচিরমিচির

ছুটিতে বেড়াতে গেলে শিশুরা বাইরের জগৎ সম্পর্কে জানতে পারে এবং যোগাযোগ তৈরি হয় বা শিশুকে মানসিকভাবে পরিণত করতে সাহায্য করে। বেড়াতে গেলে শুধু শিশুকে নয়, পুরো পরিবারকেই সঙ্গে রাখুন। এবং ছোটদের সঙ্গেও আলোচনা করুন কোন কোন স্থানে যাওয়া যেতে পারে ও তাদের আগ্রহ কিংবা মতামতে প্রাধান্য দিন।

শুধু বড়দের বিনোদন দেয়, এমন জায়গা না গিয়ে ছোটদের বিনোদন ও আনন্দের কথাই বেশি চিন্তা করতে হবে আবার শিশুকে যথেষ্ট স্বাধীনতাও দিন ঘুরতে যাওয়ার পর। অনেক মা-বাবাই ছুটির দিনগুলোতে সন্তানকে বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থান বা শিশুর জ্ঞান সমৃদ্ধ হয়, এমন স্থান বেছে নেন। অনেক সময় মা-বাবা তাঁদের সুবিধামতো বেড়ানোর স্থান ঠিক করেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, বেড়াতে যাওয়া যেন শিশুর জন্য মানসিক চাপ না হয়ে যায়।

One thought on “বেড়াতে যাওয়া বিপাকীয় রোগ ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *