স্বাস্থ্য ও পুষ্টি

কাচা ছোলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

কাচা ছোলার উপকারিতা ও অপকারিতা  বিষয়ে জানার জন্য আমাদে খবর ওয়েবসাকরার জন ধন্যবাদ জানায়।পুষ্টিবিদদের মতে কাঁচা-ছোলার যেমন শরীরে জন্য ভাল আবার নিয়ম না মেনে খেলে তেমনি ক্ষতি।আজকের আমাদের আলোচনায় এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

কাচা-ছোলা খাওয়ার উপ-কারিতা ও অপকারিতা

হালকা শীতের আমেজ উপভোগ শুরু করছে শহরবাসী। শীতকাল মানেই তো বাজারে গেলে নতুন গুড়ের মিষ্টি সুবাস। পিঠেপুলি, পাটিসাপটা বা পায়েস গুড় পড়লেই মিষ্টান্নের স্বাদ বেড়ে যায় কয়েক গুণ। কেবল স্বাদরক্ষাই নয়, গুড় খাওয়া স্বাস্থ্যকরও বটে। রোজ সকালে খালি পেটে যদি ছোলা-গুড় খাওয়া যায়, তা হলে অনেক রোগবালাই থেকে দূরে থাকা যায়। রোজ সকালে ছোলা-গুড় খেলে কী কী উপকার পাবেন…

স্মৃতিশক্তি সতেজ রাখতে পারে ছোলা-গুড়

# স্মৃতিশক্তি ভাল রাখতেও রোজকার ডায়েটে এই ছোলা ও গুড় রাখতে পারেন। ভিটামিন বি ৬ মস্তিষ্কের কাজের ক্ষমতা বাড়ায়। ছোলা-গুড়ে ভিটামিন বি ৬ পাওয় যায়। তাই স্মৃতিশক্তি সতেজ রাখতে খেয়ে দেখতেই পারেন ছোলা-গুড়।

# ভরপুর মাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে ছোলা-গুড়ে। এ ছাড়াও জিঙ্ক বা সেলেনিয়ামের মতো খনিজও থাকে। এ সব যৌগ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে বেশ সাহায়ক। শীতে ভাইরাল সংক্রমণ, ঠান্ডা লাগা, সর্দি-কাশি লেগেই থাকে, তাই ভাইরাল সংক্রমণ ঠেকাতে ছোলা-গুড় খেতে পারেন।

কাচা ছোলা খাওয়ার উপকারিতা

স্মার্টফোন ভালো রাখা যেতে পারে রিস্টার্টের মাধ্যমে

# গ্যাস-অম্বলের সমস্যায় ভোগেন কি সারা বছর? এই সমস্যা পুষে রাখলে বড় বিপদও দেখা দিতে পারে। তাই এই সমস্যা থেকে রেহাই পেতে রোজ সকালে ঘুম থেকে উঠে একমুঠো ভেজানো ছোলা, আখের গুড় ও আদা খেতে পারেন। কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যাতেও ছোলা-গুড় বেশ উপকার পাওয়া যায়।

# রক্তাল্পতায় ভুগছেন, তাঁরা নিয়মিত এই খাবার খেতে পারেন। গুড় ও ছোলায় ভাল পরিমাণে আয়রন থাকে। মহিলারা ঋতুস্রাবের সময়েও খেতে পারেন ছোলা-গুড় বেশ উপকার পাবেন। এই সময়ে মেজাজ ঠিক রাখতে বেশ সহায়ক এই ছোলা-গুড়। ঋতুচক্র স্বাভাবিক রাখতেও এই খাবারের উপর ভরসা রাখতে পারেন।

কাচা ছোলা খাওয়ার অপকারিতা

বটিউলিজম’ এক ধরনের খাদ্যে বিষক্রিয়া, যার কারণ হলো ‘ব্যাক্টেরিয়াম ক্লস্ট্রিডিয়াম বটুলিনাম’ নামক ব্যাক্টেরিয়া। কৌটাজাত খাবার থেকে এই ব্যাক্টেরিয়ার আক্রমণের শিকার হওয়ার সম্ভাবনা কম হলেও তা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। কৌটাজাত খাবার সঠিকভাবে সংরক্ষণ করতে না পারলে এই ব্যাক্টেরিয়ার সৃষ্টি হয়। বিশেষত যেসব কৌটাজাত খাবারে লবণ ও চিনির মাত্রা কম থাকে এবং খাবারে যদি অক্সিজেন না পৌঁছায় তবে সেখানে এই ব্যাক্টেরিয়া জন্মানোর সম্ভাবনা থাকে বেশি। আর কৌটাজাত ছোলায় লবণ ও চিনি দুটোই কম থাকে।

শেষ কথা

পরিশেষে বলা যায়, কাচা ছোলার উপকারিতা ও অপকারিতা আপনার এই আলোচনা থেকে বুঝতে পেরেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ সম্পূর্ণ বিষয়টি মনযোগ দিয়ে পড়ার জন্য। 

ছোলায় বেশ ফসফরাস থাকে। দাঁতের স্বাস্থ্য জন্য ছোলা ও গুড় রাখতে পারেন ডায়েটে। এতে দাঁত মজবুত হবে।

One thought on “কাচা ছোলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *