ভ্রমণ

মিশরে বাংলাদেশিদের জন্য অন-অ্যারাইভাল ভিসার…

পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নীলনদের দেশ মিশরে বাংলাদেশিদের জন্য অন-অ্যারাইভাল ভিসার সুবিধা বহাল থাকছে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ দূতাবাসকে দেওয়া পরিপত্রে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

এপ্রিল ২০২২ সালের এক বছরের জন্য শর্তসাপেক্ষে বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য এই সুবিধা দিয়েছিল দেশটি। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই আবারও ২ বছরের জন্য চুক্তি নবায়ন করতে মিশরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অনুরোধপত্র পাঠায় বাংলাদেশ দূতাবাস। সম্প্রতি মিশরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে দেওয়া সরকারি পরিপত্রে কায়রোতে বাংলাদেশ দূতাবাসকে জানানো হয়, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত গত বছরে করা শর্তসাপেক্ষে অন-অ্যারাইভাল ভিসার চুক্তিটি বলবৎ থাকবে।

মিশরের যে কোনো বন্দর থেকে অন-অ্যারাইভাল ভিসার সুবিধা পাওয়ার শর্ত হচ্ছে, সাধারণ পাসপোর্টধারীরা জাপান, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও শেনজেনভুক্ত ইউরোপীয় দেশের বৈধ ও ব্যবহৃত ভিসা কিংবা রেসিডেন্স পারমিট থাকতে হবে। যারা কায়রো ট্রানজিট নিয়ে ইউরোপ ও আমেরিকা ভ্রমণ করতে চান তাদের জন্য এই সুবিধা বেশি সুফল দেবে। মিশরের নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, শর্ত দেওয়া দেশগুলোর ব্যবহৃত ভিসা বা রেসিডেন্ট পারমিট থাকলে পৃথিবীর যেকোনো দেশ ভ্রমণের সময় ট্রানজিটে কিংবা সরাসরি মিশর প্রবেশ করা যাবে। এদিকে, গত বছরে প্রথম দফায় বাংলাদেশি জন্য অন-অ্যারাইভাল ভিসা চালু হওয়ার পর, মিশরের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়হীনতার কারণে বিশ্বের কোনো কোনো দেশের বিমানবন্দরে সমস্যা দেখা দেয়। সে দেশের স্থায়ী রেসিডেন্সি থাকা সত্ত্বেও অনেক বাংলাদেশিকে অন-অ্যারাইভাল ভিসায় মিশরের ফ্লইটে উঠতে দেওয়া হয়নি। বিষয়টি নজরে আসলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে সমাধানের চেষ্টা করে বাংলাদেশ দূতাবাস। অন-অ্যারাইভাল ভিসা সুবিধা গ্রহণে বাংলাদেশিদের শর্ত সাপেক্ষের পাসপোর্টধারী আর সমস্যা হবে না বলে নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রদূত মো. মনিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ভুল বোঝাবুঝিতে কিছুক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিয়েছিল। কারণ হলো, অনেক বিদেশি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে অবহিত ছিল না। তাদের কাছে বিষয়টি নতুন এবং এ সংক্রান্ত লিখিত প্রমাণপত্র ছিল না। বিষয়টি নিয়ে মিশরীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকের পর আশা করছি বাংলাদেশিদের কোনো প্রতিবন্ধকতায় পড়তে হবে না। আগ্রহী বাংলাদেশিদের মিশর ভ্রমণের সময় দেশটির সরকারি পরিপত্রটি অনুবাদের কপিসহ সঙ্গে রাখতেও অনুরোধ জানান মিশরে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *