খেলাধুলা

দানি আলভেজের জামিনে বন্ধুর সহায়তা

জামিন নিতে দানি আলভেজের পক্ষে জমা দিতে হয়েছে দশ লাখ ইউরো, মেম্ফিস ডিপাই সেই বন্ধুত্বের খাতিরেই বিপদের সময় অর্থসহায়তা নিয়ে এগিয়ে এসেছেন। তার মানে এটা নয় যে তারা যা করে তার সঙ্গে আমি একমত। কিন্তু আমি আমার বন্ধুদের পরিত্যাগ করতে পারি না।

দানি আলভেজের জামিনে বন্ধুর সহায়তা

বার্সেলোনার নৈশক্লাবে নারীকে ধর্ষণের দায়ে সাড়ে ৪ বছরের কারাদণ্ড পাওয়া সাবেক বার্সা তারকা দানি আলভেজ গত পরশু জামিনে মুক্ত হয়েছেন। বার্সেলোনার আদালত জামিন মঞ্জুর করলেও জামানতের অর্থ পরিশোধ করতে না পারায় মুক্তি পাচ্ছিলেন না সাবেক বার্সা এই তারকা। শেষ পর্যন্ত জরিমানার অর্থ জমা দিয়েই প্রায় ১৪ মাস পর কারাগার ত্যাগ করেছেন সাবেক বার্সা তারকা এই ব্রাজিলিয়ান।

সাবেক বার্সা তারকা দানি আলভেজ বেরিয়ে আসার পর কে জামিনের অর্থ পরিশোধ করেছে, তা নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম। আর্জেন্টাইন সংবাদমাধ্যম মুন্দো দেপোর্তিভো ও কাতারি সাংবাদিক মাবকুত আল মারির জানিয়েছেন, দানি আলভেজের সাবেক বার্সেলোনা সতীর্থ এবং বর্তমানে আতলেতিকো মাদ্রিদ ফরোয়ার্ড মেম্ফিস ডিপাই জামানতের অর্থ পরিশোধ করেছেন। জামিন নিতে দানি আলভেজের পক্ষে জমা দিতে হয়েছে দশ লাখ ইউরো (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১২ কোটি টাকা)।

এর আগে দানি আলভেজ জামিন পেলেও জরিমানার অর্থ জোগাড় করতে না পারায় কারাগারে দিন কাটাতে হচ্ছিল। কিন্তু শুরুতে নেইমারের অর্থ পরিশোধ করার কথা শোনা যায়, এবং নেইমার আগে বিচারকাজ চলার সময়ও আর্থিকভাবে সহায়তা করেছিলেন দানি আলভেজকে, নেইমারের বাবা ধর্ষণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার কারণে তাকে আর কোনো সহায়তা না করার সিদ্ধান্তের কথা জানান।

দানি আলভেজের মা ও ভাই এর পর থেকেই মূলত অর্থের সন্ধানে ছিলেন, পরে অবশ্য সেই অর্থ জোগাড় হওয়ার কথা জানা যায় এবং জামিনে বেরিয়েও আসেন বার্সা এই তারকা। দানি আলভেজ ও মেম্ফিস ডিপাই ২০২১–২০২২ মৌসুমে বার্সেলোনায় মাত্র ১২ ম্যাচ একসঙ্গে খেলেছিলেন এর মধ্যেই একে অপরের খুব ভালো বন্ধু হয়ে ওঠেন এ দুই বার্সা এই তারকা। মেম্ফিস ডিপাই সেই বন্ধুত্বের খাতিরেই বিপদের সময় অর্থসহায়তা নিয়ে এগিয়ে এসেছেন।

আরও পড়ুন: মেসি–সুয়ারেজের গোল ইন্টার মায়ামি

অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের পাশে মেম্ফিস ডিপাইয়ের দাঁড়ানোর ঘটনা এটাই প্রথম নয়। ম্যানচেস্টার সিটির ফরাসি ডিফেন্ডার বেঞ্জামিন মেন্দি এর আগে একাধিক ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত হয়ে যখন বিচারের মুখোমুখি হয়েছিলেন তখনও তাঁর পাশে ছিলেন মেম্ফিস ডিপাই। এছাড়াও মাদক পাচারের দায়ে অভিযুক্ত ও আটক ডাচ ফরোয়ার্ড কুইন্সি প্রোমেসকেও সহায়তা করেছেন ডিপাই।

সম্প্রতি দানি আলভেজ ও বেঞ্জামিন মেন্দির পাশে দাঁড়ানো নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে মেম্ফিস ডিপাই বলেন, বেঞ্জামিন মেন্দি ও দানি আলভেজ অপরাধমূলক মামলায় জড়িত তার মানে এই নয় যে তারা এখন আর আমার বন্ধু নয়। আমার বন্ধু ও পরিবারকে হতাশ রাখবো না কখনো আমি, তবে তার মানে এটা নয় যে তারা যা করে তার সঙ্গে আমি একমত। কিন্তু আমি আমার বন্ধুদের পরিত্যাগ করতে পারি না। আপনাদের সকলের বোঝা উচিত যে আমি ভিন্ন একটি পরিবেশ থেকে এসেছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *