ভালবেসে ঘর বাঁধেন তবু স্বামীর থেকে দূরে?
ব্যক্তিগত জীবন কেমন অলকা যা়জ্ঞিকের? কিন্তু গানের জগতে তাঁর সাফল্যের তালিকা অনেক লম্বা।
১৪ বছর বয়সে বলিউডে গানে অভিষেক হয়েছিল অলকা যাজ্ঞিকের। নব্বইয়ের দশকে একচেটিয়া আধিপত্য ছিল তাঁর। দু’হাজারেরও বেশি গানের রেকর্ড রয়েছে তার ঝুলিতে। গান গেয়েছেন অন্তত ১৬টি ভাষায় । ২০ মার্চ অলকা যাজ্ঞিকের জন্মদিন ৫৭ তে পা দিয়েছেন এই গায়িকা। মধ্যবিত্ত পরিবারে বেড়ে ওঠা। মায়ের কাছেই সঙ্গীতের তালিম শুরু। মাত্র ৬ বছর বয়সে আকাশবাণী কলকাতায় গান শুরু করেছিলেন তিনি। তার কেরিয়ার এখন যে উচ্চতায় পৌঁছেছে, তার পুরো কৃতিত্বই মাকে দেন এই গুনী শিল্পী। ১৯৮০ সালে প্রথম প্লেব্যাক করেন পায়েল কি ঝঙ্কার ছবিতে। এর পর আর পিছনে ফিরতে হয়নি তাঁকে। গানের জগতে তাঁর কৃতিত্ব যেমন গোছানো, ব্যক্তিগত জীবনেও তেমনই এই শিল্পী।
মায়ের সঙ্গে দিল্লি যান অলকা। দিল্লি স্টেশনে তাদের নিতে আসেন নীরজ। সেই সময় কেউই কাউকে চিনতেন না। নীরজ ছিলেন অলকার মায়ের বন্ধুর আত্মীয়। প্রথম দেখাতেই ভাল লেগে গিয়েছিল একে অপরকে। ১৯৮৯ সালে শিলংয়ের এক ব্যবসায়ীকে বিয়ে করেন। তবু বিয়ের পর প্রায় ২৭ বছর আলাদা থেকেছেন তারা। কর্মসূত্রে বছরের বেশির ভাগ দিন মুম্বইতেই থাকতে হত অলকাকে। অন্য দিকে, তার স্বামী নীরজ কুমারকে ব্যবসার প্রয়োজনে রয়ে যেতে হয় শিলংয়ে। যে কোনও সম্পর্ক এ রকম দূরত্ব থেকে বিচ্ছেদের দিকে এগোয়। কিন্তু অলকা এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমী। কেরিয়ারের মধ্যগগনে মুম্বইয়ের কাজ ফেলে চলে আসা প্রায় অসম্ভব ছিল অলকার পক্ষে। অন্য দিকে, শিলংয়ের ব্যবসা ফেলে যেতে পারবেন না নীরজ। অনেকেরই ধারণা ছিল, এমন বিয়ে হয়তো টিকবে না। তবে সেই আশঙ্কাকে ভুল প্রমাণ করে সুখী দাম্পত্যের নজির গড়েছেন অলকা-নীরজ। তাদের একটি কন্যাসন্তানও রয়েছে। কয়েক বছর আগেই বিয়ে হয় অলকা-নীরজের এক মাত্র কন্যার।