সেহরিতে খাওয়া উচিত নয়
সারা দিনের শক্তি সঞ্চয় ও পুষ্টির কথাটি মাথায় রেখে সেহরিতে হালকা ও সহজপাচ্য স্বাস্থ্যসম্মত খাবারই খাওয়া উচিত। আমাদের দেশে রমজানে যে খাদ্যাভ্যাস, তা পুরোপুরি স্বাস্থ্যসম্মত নয়। সেহরির খাবার মুখরোচক, স্বাস্থ্যসম্মত হওয়া যেমন প্রয়োজন তেমনি সহজে হজম হয় ও সারা দিন সুস্থ রাখতে সাহায্য করে সে বিষয়গুলো দরকারি।
সেহরিতে যে খাবার খাওয়া উচিত নয় চলুন জেনে নেই
সেহেরিতে কখনই অতিরিক্ত মসলাযুক্ত ভারি খাবার খাওয়া উচিত নয়। যেকোনো রকম, শাক বা আঁশ জাতীয় সবজি খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত। আঁশ জাতীয় খাবার হজম হতে সময় নেয় এবং হজমে সমস্যা তৈরি করে গ্যাস সৃষ্টি করতে পারে যার ফলে সারাদিন পেট ভারী বা শ্বাস ভারীর অনুভূতি হতে পারে যা রোজা রেখে অস্বস্তিকর ও এটি পেট খারাপ করে দিতে পারে ।
বিরিয়ানি, পোলাও, তেহারি, খিচুরি— এই জাতীয় গুরুপাক খাবারগুলো সেহরিতে একেবারেই খাওয়া উচিত নয়। এসব খাবার হজমে সমস্যা সৃষ্টি করে পেটে গ্যাস তৈরি করে। এবং গুরুপাক খাবার খাওয়ার কারণে কোলেস্টোরেল বেড়ে গেলে কার্ডিওভ্যাস্কুলার সমস্যা শুরু হয় এর কারণে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ে।
সেহরিতে শুঁটকি মাছ রান্না, ভর্তা, ভাজি খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন, এটি আপনার হজমেও সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। শুঁটকি প্রক্রিয়াজাতকরণ ও সংরক্ষণের সময় প্রচুর লবণ দেওয়া হয়। তাই উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগীদের জন্য এটি ক্ষতিকর হতে পারে। এছাড়া যাদের কিডনিতে ক্যালসিয়াম পাথর হওয়ার ঝুঁকি আছে, তারাও শুঁটকি এড়িয়ে চলা উচিত।
প্যাক করা খাবার, আচার, প্রক্রিয়াজাত খাবার, ক্যানের সুপ, নিমকি, হিমায়িত খাবার, ড্রেসিং, সস, স্ন্যাকস্ জাতীয় খাবার সেহেরিতে খাওয়া ভালো। সেহরিতে মিষ্টি খাবার জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। মিষ্টি জাতীয় খাবারের কারণে বদহজম হয়। সেহরি খাওয়ার পর কখনোই সফট ড্রিঙ্ক খাওয়া উচিত নয়। কোল্ড ড্রিংকস আসলে অতিরিক্ত চিনি আর মিষ্টি ছাড়া কিছুই নয়। এছাড়াও কোল্ড ড্রিঙ্ক দেহকে পানিশূন্য করে ফেলে। ফাস্টফুড খাবার থেকে বিরত থাকা উচিত। সেহেরিতে মুরগির মাংস রান্নার পরে নতুনভাবে গরম করে খেলেও একধরনের বিষাক্ত গ্যাস সৃষ্টি হতে পারে, যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। অধিক লবণ জাতীয় তৈলাক্ত খাবার দিয়ে রান্না খাবার গুলো সেহরিতে খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। এছাড়া খাবার সুস্বাদু করার জন্য ব্যবহৃত বিভিন্ন দ্রব্য যেমন কেচাপ, সয়াসস, সালাদ বানানোর উপকরণ, আচার জাতীয় লবণাক্ত খাবার থেকে বিরত থাকা উচিত। শুকনো ও প্রক্রিয়াজাত খাবার খেলে তা শরীরকে পানিশূন্য করে। তাই এ ধরনের খাবার বর্জন করা ভালো।
চা বা কফির ক্যাফেইন দেহকে পানিশূন্য করে ফেলে এবং এবং অবসন্ন-ভাব আনে। এতে করে আমরা অতিরিক্ত গরমে অসুস্থ বোধ করি। সেহরিতে এজন্য অতিরিক্ত ক্যাফেইন জাতীয় খাবার এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। সেহেরিতে কোনভাবেই বাসি খাবার খাওয়া উচিত নয়।