পৃথিবীর খুব কাছ দিয়ে গেল গ্রহাণু ‘সিটি কিলার’
গত ২৫ মার্চ, শনিবার পৃথিবীর খুব কাছ দিয়ে উড়ে গেল সিটি কিলার গ্রহাণু ২০২৩ ডিজেড২। ২০২৩ ডিজেড-২ নামের এই গ্রহাণুটি শনিবার পৃথিবী ও চাঁদের কক্ষপথের মাঝামাঝি অবস্থানে থাকবে। তখন পৃথিবী থেকে গ্রহাণুটির দূরত্ব থাকবে ৩ লাখ ৮৪ হাজার ৪০০ কিলোমিটার। অপরদিকে চাঁদ থেকে এ গ্রহাণুটির দূরত্ব থাকবে ১ লাখ ৭০ হাজার কিলোমিটার। বায়ুমণ্ডলে এ আকারের অসংখ্য গ্রহাণু থাকলেও, এটি নিয়ে আলাদাভাবে আলোচনা হচ্ছে। গ্রহাণুটির আকার মাত্র ১৩১ থেকে ৩২৮ ফুট।
জ্যোতির্বিদ্যা বিশেষজ্ঞ রিচার্ড মইসি বলেছেন, প্রতি ১০ বছরে একবার এমনটি হয়, এই গ্রহাণুটির বিশেষত্ব হলো এটি অনেক বিরল। এই আকারের একটি বস্তু পৃথিবীর এত কাছ দিয়ে যাওয়ার বিষয়টি স্বাভাবিক কোনো ঘটনা নয়। জ্যোতির্বিদ্যা বিশেষজ্ঞ রিচার্ড মইসি বলেছেন, পৃথিবীতে প্রভাব রাখা দু’টি গ্রহাণুর ওপর ভিত্তি করে এ গ্রহাণুটির নামের পাশে সিটি কিলার শব্দটি যুক্ত করা হয়েছে। পৃথিবীর এত কাছাকাছি চলে আসার পর এ গ্রহাণুটির আকার ও বৈশিষ্ট্য নিয়ে আরো গবেষণা করতে পারবে বিজ্ঞানীরা।
১৯০৮ সালে তুংসা ইভেন্টের সময় একটি গ্রহাণু পৃথিবীতে একটি শকওয়েভ বা তরঙ্গ পাঠিয়েছিল। যার প্রভাবে সাইবেরিয়া বনের দুই হাজার কিলোমিটার অঞ্চল উজাড় হয়ে গিয়েছিল। এছাড়াও প্রায় ৫০ হাজার বছর আগে একটি লোহার গ্রহাণু যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান অ্যারিজোনাতে ১.২ কিলোমিটার বিস্তত অঞ্চলজুড়ে ১৮০ কিলোমিটার গভীর খাদের সৃষ্টি করেছিল।
রিচার্ড মইসি বলেছেন, কিন্তু যদি এটি কোনো শহরে আঘাত হানে তাহলে ওই শহরটি ধ্বংস হয়ে যাবে। যার প্রভাবে শহরটি থেকে মানুষকে সরিয়ে নিতে হবে। মহাকাশের কোনো বস্তু পৃথিবীর কক্ষপথে প্রবেশ করে এবং ভূমিতে সজোরে আঘাত হানে, আর ঘটনাটি ঘটে কোনো জনমানব শূন্যস্থানে। যেহেতু এ আকারের গ্রহাণুর আঘাতে কোনো শহর ধ্বংস হয়ে যেতে পারে তাই এমন গ্রহাণু গুলোকে সিটি কিলার হিসেবে অভিহিত করা হয়।
সূত্র: সিএনএন