শামসুজ্জামানের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি সিপিজের
সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষায় সোচ্চার আন্তর্জাতিক সংগঠন কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে), প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামানের দ্রুত ও নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেছে। সংগঠনটি বলেছে, বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষকে অবিলম্বে সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। তাঁর কাজ সংক্রান্ত তদন্ত বন্ধ করতে হবে এবং সাংবাদিক কর্মীরা যেন প্রতিহিংসার শিকার হওয়ার ও ভয় ছাড়াই খবর তৈরি করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে হবে। গত বুধবার সিপিজের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব কথা বলেছে নিউ ইয়র্কভিত্তিক সংগঠনটি।
বুধবার ভোররাত ৪ টার দিকে সাভারে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের আমবাগান এলাকায় শামসুজ্জামানের বাসায় যান ১৪-১৫ ব্যক্তি। তারা নিজেদের সিআইডি সদস্য পরিচয় দিয়ে শামসুজ্জামানের থাকার কক্ষ তল্লাশি করে তাঁর ব্যবহৃত ২ টি মুঠোফোন, একটি ল্যাপটপ, ও একটি পোর্টেবল হার্ডডিস্ক নিয়ে যান। পরে শামসুজ্জামানকে নিয়ে যান তাঁরা।
সিপিজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় এক রাজনৈতিক নেতা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ওই মামলা করেছেন। মঙ্গলবার রাত ২টা ১৫ মিনিটে ঢাকার তেজগাঁও থানায়। কর্তৃপক্ষ সেটি তদন্ত করার কথা বলেছে।
নিউ ইয়র্কে সিপিজের প্রোগ্রাম ডিরেক্টর কার্লোস মার্টিনেজ দে লা সেরনা বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাংবাদিক শামসুজ্জামান শামসকে গ্রেপ্তার ও হয়রানি কর্তৃপক্ষের অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া দেখানো, যাতে ভীতি প্রদর্শন করা হয়েছে। যাঁরা সরকারের সমালোচনা করেন, তাঁদের কণ্ঠরোধে এই আইন বার বার ব্যবহার করা হচ্ছে। কর্তৃপক্ষকে অবিলম্বে নিঃশর্তভাবে শামসকে মুক্তি দিতে হবে এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে সাংবাদিকদের হয়রানি বন্ধ করতে হবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক একাধিকবার বলেছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অভিযোগ দায়েরের পর অবিলম্বে কোনো সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করা হবে না। কিন্তু বারবার বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ব্যবহার করে কারাদণ্ড এবং সাংবাদিকদেরকে তাঁদের পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য নিপীড়নের ঘটনা ঘটছে। শামসুজ্জামানের বিষয়ে জানতে সিপিজের পক্ষ থেকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও কোনো সাড়া দেয়নি ডিএমপি। তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা কিবরিয়ার সঙ্গে সিপিজে যোগাযোগ করলে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।