কীর্তি সুরেশের হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যায়
কীর্তি সুরেশের হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যায়
প্রায় এক যুগ পার করে ফেলেছেন কীর্তি সুরেশ চলচ্চিত্র দুনিয়ায়। দক্ষিণি এই নায়িকার নানা শক্তিশালী চরিত্রে অভিনয় করে নজর কেড়েছেন তিনি। মহানটী, ভাসি ছবিতে তাঁর দাপট দেখা গেছে। দক্ষিণি এই নায়িকার এবার প্যান ইন্ডিয়া স্তরে অভিষেক হলো। সদ্য মুক্তি পেল তাঁর ছবি `দসারা`। এই উপলক্ষে চরিত্র নির্বাচন নিয়ে কিছু কথা বলেছেন তিনি।
কেমন ধরনের চরিত্রে অভিনয় করতে চান? জবাবে কীর্তি বলেন, শক্তিশালী চরিত্রেই অভিনয় করতে হবে এটা সব সময় জরুরি নয়। একজন অভিনেত্রী হিসেবে নিজেকে খোলা রাখা উচিত। আমি নিজেকে সব ধরনের চরিত্রে নিজেকে পরখ করতে চাই। তবে চরিত্রটিতে অবশ্যই কিছু থাকতে হবে। আর পর্দায় আমার উপস্থিতি যেন বেশি থাকে। এই দক্ষিণি নায়িকা আরও বলেন, নানির সঙ্গে আমার প্রথম ছবি ছিল “নেনু লোকাল”।
এই ছবিতে আমি নরমসরম মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছি। আবার “দসারা” তে দুষ্টমিতে ভরা, আর মজার আমার চরিত্রটিতে। আমার চরিত্র ভেনেলার সঙ্গে শুধু তেলেঙ্গানার নয়, সারা ভারতের মানুষ নিজেদের যুক্ত করতে পারবেন। ছবিতে ভেনেলা দুর্বল হলেও তার মধ্যে অনেক শক্তি আছে। প্রায় ছয় বছর পর তেলেগু সুপারস্টার নানির সঙ্গে আবার জুটি বেঁধেছেন কীর্তি।
কীর্তি সুরেশ নানি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ছবির সেটে তার সঙ্গে থাকা মানে শুধুই সিনেমা নিয়ে আড্ডা। আমরা টানা চার-পাঁচ ঘণ্টা সিনেমা নিয়ে কথা বলতে থাকি। এমনকি আধা ঘণ্টা কথা বললেও তার বিষয় সিনেমাই থাকে। আমি জানি যে নানি সিনেমাকে ঘিরে কতটা আবেগপ্রবণ। তাঁর এই দিকটা আমার দারুণ লাগে।
ছবি মুক্তির আগে ভয়ে কীর্তির হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যায়। তিনি বলেন, সব ছবি মুক্তির আগে মনে হয় পেটের মধ্যে অসংখ্য প্রজাপতি উড়ে বেড়াচ্ছে। ছবি মুক্তির দিন যত কাছে আসে এই প্রজাপতির সংখ্যা ততো যেন বেড়ে যায়। অনুভূতিটা ঠিক স্কুলের পরীক্ষার সময় হতো। আসলে প্রতিটা ছবির নায়ক নায়িকাদের দায়বদ্ধতা আছে বলে আমি মনে করি। অনেকেই ধরে নিয়েছেন যে কীর্তি বলিউডের আগামী লেডি সুপারস্টার। তবে তিনি তা মানতে নারাজ, আমাদের একজন লেডি সুপারস্টার আছেন। তাই এই ট্যাগ আমার সঙ্গে ঠিক যায় না।
মুক্তির পর বক্স অফিসে দারুণ ব্যবসা করছে ”দসারা”। প্রথম তিন দিনেই আয় করেছে ৫০ কোটি রুপির বেশি।
পা ঠান্ডা হয়ে যায়.