গন্ধগোকুলের আক্রমণে তিনজন আহত, বগুড়ায়
গন্ধগোকুলের আক্রমণে তিনজন আহত, বগুড়ায়
মহিলাসহ ৩ জন আহত হয়েছেন বগুড়ায় বিলুপ্তপ্রায় প্রাণী গন্ধগোকুলের আক্রমণে। ঘটনাটি ঘটে গত রবিবার পৌর শহরের দত্তবাড়ি এলাকার মোস্তফা অভির বাসায়। আহতরা হলেন- ফরহাদ হোসেন, তৌফিক হাসান হিমু, ফাতেমা বেগম।
পরিবেশবাদী সংগঠন (তীর) টিম ফর অ্যানার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল রিসার্চের বিলুপ্তপ্রায় এই প্রাণীটি উদ্ধার করে। বিষয়টি নিশ্চিত করে তীরের সাধারণ সম্পাদক বলেন, স্থানীয়দের দেওয়া খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে বিলুপ্তপ্রায় গন্ধগোকুলটিকে উদ্ধার করি। সামাজিক বন বিভাগের একটি টিম আমাদের সহযোগিতা করেন। এবং প্রাণীটিকে সামাজিক বন বিভাগে হস্তান্তর করা হয়েছে। পর্যাপ্ত খাবার থাকায় ঐ এলাকায় পরিত্যক্ত একটি বাসায় গন্ধগোকুল বাসা বেঁধেছে।
গন্ধগোকুলের আক্রমণে যারা আহত হয়েছেন স্যাভলন দিয়ে তাদের ক্ষত স্থানে পরিষ্কার করার পর সরকারি হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসার পরামর্শ দিয়েছি। সচরাচর মানুষকে কামড় দেয় না গন্ধগোকুল, এটা কেন জানি না হিংস্র হয়ে পড়েছে।
আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে জানতে পেরেছি, সবজি কাটছিলেন ঐ বাসার কাজের মহিলা। এ সময় গাছ থেকে নেমে এসে গন্ধগোকুলটি তাকে আক্রমণ করে রুমের মধ্যে প্রবেশ করে। এরপর আর রুম থেকে বের হচ্ছিলো না। পরে আমাদেরকে খবর দিলে আমরা ঘটনাস্থলে যাই।
এরপর তারা বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ রাজশাহীর ওয়াইল্ডলাইফ ইন্সপেক্টর জাহাঙ্গীর কবিরকে জানাই। কিন্তু বৈরী আবহাওয়ার কারণে তিনি আসতে পারেননি। পরে সামাজিক বন বিভাগ বগুড়ায় জানালে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে একটি টিম উপস্থিত হয়। তাদের সহযোগিতায় আমরা প্রাণীটিকে উদ্ধার করি। প্রাণীটিকে উদ্ধার করতে গেলে আমাদেরও একজনকে আচড় এবং দুজনকে কামড় দেয়।
ম্যারাডোনার মৃত্যুরহস্য ৮ জন কাঠগড়ায়
তীরের উপদেষ্টা আরিফুর রহমান জানান, গন্ধগোকুল মূলত ফলখেকো হলেও ইঁদুর ও ফল-ফসলের ক্ষতিকর পোকামাকড় খেয়ে কৃষকের উপকার করে। কীটপতঙ্গ, শামুক, ডিম-বাচ্চা-পাখি, ছোট প্রাণী, তাল-খেজুরের রস খায়। খাদ্যের অভাবে মুরগি-কবুতর ও ফল চুরি করে।
এরা দিনের বেলা বড় কোনো গাছের ভূমি সমান্তরাল ডালে লম্বা হয়ে শুয়ে থাকে, লেজটি ঝুলে থাকে নিচের দিকে। যে এলাকা থেকে প্রাণীটিকে উদ্ধার করা হলো ওই এলাকায় তার পর্যাপ্ত খাবার ছিলো। যে কারণে সে ওই এলাকায় বসবাস শুরু করেছিলো। ঐ এলাকায় আরো গন্ধগোকুল পাওয়া যেতে পারে।