পাম্পের পাইপে স্ত্রীর মরদেহ, স্বামী গ্রেপ্তার
ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় ২০ ফুট পাম্পের পাইপ খুড়ে বেশ কয়েক ঘণ্টা চেষ্টার পর নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় সোলার সেচ পাম্পের পাইপের ভেতর থেকে এক নারীর ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী ফোনটু মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাত ৯ টার দিকে আলমডাঙ্গা উপজেলার আইলহাস ইউনিয়নের পোলবাগুন্দা গ্রামের মাঝের পাড়ার মাঠ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ।
নিহত ডালিয়া খাতুন (৪৪) একই গ্রামের ফোনটু মণ্ডলের (৫০) স্ত্রী। থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল আলিম জানান, ফোনটু মণ্ডলের পরকীয়া সম্পর্ক নিয়ে সন্দেহের জেরে স্ত্রী ডালিয়া খাতুনের সঙ্গে তার পারিবারিক কলহ চলছিল। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ডালিয়া খাতুনকে না পেয়ে খোঁজাখুজি করতে থাকেন তার স্বজনরা। এর পর সকালে ফোন্টুকে কোদাল হাতে মাঠ থেকে বাড়িতে আসতে দেখে তাদের সন্দেহ আরও বেড়ে যায়। তখন পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা ঐ মাঠে খোজাখুজি করতে থাকে।
বৃহস্পতিবার বিকালে পোলবাগুন্দা গ্রামে মাঝের পাড়া মাঠের ভুট্টা ক্ষেতের মধ্যে কিছু চুল ও রক্ত পড়ে থাকতে দেখা যায়। তার পাশেই সোলার সেচ পাম্পের পাইপের ভিতরে মরদেহ ফেলে রাখা হয়েছে বলে সন্দেহ হয় স্থানীয়দের। পরে খবর পেয়ে কয়েক ঘণ্টা চেষ্টার পর ২০ ফুট পাম্পের পাইপ খুড়ে তার ভিতর থেকে ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
আলমডাঙ্গা থানার ওসি সাইফুল ইসলাম বলেন, পারিবারিক কলহের জের ধরে স্ত্রী ডালিয়া খাতুনকে বুধবার রাতেই যে কোন সময় ফোনটু মণ্ডল হত্যা করেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নিহত ডালিয়া শরীরের ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্নও পাওয়া গেছে। সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান আলমডাঙ্গা থানার ওসি সাইফুল ইসলাম।
ওসি সাইফুল আরও বলেন, এ ঘটনায় নিহতের ছেলে জামিরুল ইসলাম বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেছেন। ফোনটু মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকারও করেছেন। গ্রেপ্তার ফোনটু মণ্ডলকে আজ শুক্রবার আদালতে সোপর্দ করা হবে বলেও জানান আলমডাঙ্গা থানার ওসি।