চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে ইতিহাস গড়লো ভারত
চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে ইতিহাস গড়লো ভারত
চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে চন্দ্রযান-৩ এর মাধ্যমে অবতরণকারী প্রথম দেশ হিসেবে ইতিহাস গড়লো ভারত। বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, শিগগির চাঁদের পৃষ্ঠে চন্দ্রযান-৩ থেকে একটি রোভার নামানো সম্ভব হবে এবং সেটি পৃথিবীতে ছবি ও ভিডিও পাঠাতে পারবে।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসির খবর অনুসারে, অনাবিষ্কৃতই ছিল পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহের দক্ষিণ মেরু। এর আগের চাঁদে সব মিশনে চন্দ্রযানগুলো নিরক্ষরেখার কাছাকাছি নেমেছিল। তবে ইসরোর কর্মকর্তারা চন্দ্রযান-৩ চাঁদের মাটিতে পা রাখার সঙ্গে সঙ্গে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন। চন্দ্রজয়ের সাফল্যে উদ্বেলিত ইসরো চেয়ারম্যান এস সোমনাথ বলেন ভারত চাঁদে পৌঁছেছে। সফট ল্যান্ডিং করতে পেরেছি আমরা। এদিন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল শেষ ১৫ মিনিটের যাত্রা।
ল্যান্ডার বিক্রমকে প্রথমে চাঁদের ওপর ৩০ কিলোমিটার উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া হয়। উচ্চতা থেকে চাঁদের দিকে নেমে আসার প্রক্রিয়ায় ল্যান্ডারের গতিবেগ ছিল প্রতি সেকেন্ডে ১ দশমিক ৬ কিলোমিটার। এরপর গতি কমিয়ে আনা হয়। অবতরণ স্থল থেকে তার দূরত্ব ছিল ৭৪৫ দশমিক ৫ কিলোমিটার। এভাবে ধীরে ধীরে ৬৯০ সেকেন্ড নামার পর ল্যান্ডারের ইঞ্জিনগুলো কাজ করা শুরু করে। দ্বিতীয় চন্দ্রযানে ৫ টি ইঞ্জিন ছিল। তৃতীয় চন্দ্রযানে ইঞ্জিনের সংখ্যা কমিয়ে ৪ করা হয়েছে। দু’টি ইঞ্জিন চালু রাখা হয় সফট ল্যান্ডিংয়ের সময়। দ্বিতীয় চন্দ্রযানে যে সেন্ট্রাল ইঞ্জিন ছিল এবার সেটিও বাদ দেওয়া হয়েছে।
কার্বন নিঃসরণ কমানো লক্ষ্য শক্ত পালের কার্গো
গতিবেগে গণ্ডগোল হলে বা সেন্সর কাজ না করলে যেন ল্যান্ডিংয়ের সময় পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যায় সেজন্য সফটওয়্যার আরও উন্নত করা হয়েছিল। যখন চাঁদের মাটি থেকে দূরত্ব কমে দাঁড়ায় ৭ দশমিক ৫ কিলোমিটার, আসল চ্যালেঞ্জ তখনই শুরু হয়। আগেরবার এই পর্যায়ে গিয়েই মস্ত বড় ভুল করে ফেলেছিল চন্দ্রযান-২, এবার তা হয়নি। চন্দ্রযান-৩ শেষ সাড়ে ৭ কিলোমিটারের পথ অত্যন্ত সতর্কভাবে এবং সময় ও গতিবেগ হিসেব করে হালকা পালকের মতো নামে ল্যান্ডিং স্পটে।
ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, টিম চন্দ্রযানকে আমার শুভেচ্ছা। এই মুহূর্তটির জন্য তারা বছরের পর বছর পরিশ্রম করেছেন। শুভেচ্ছা দেশের ১৪০ কোটি মানুষকে। অন্তরীক্ষে নতুন ভারতের উদয় হলো।
Pingback: সৌদি প্রবাসীরা নিতে পারবেন পরিবারের সদস্য - Amader Khabar