কর্মবিরতি চিকিৎসক স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় অচলাবস্থা খুলনায়…..
বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) খুলনা জেলা শাখা।
আসামি গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে। শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. শেখ নিশাত আব্দুল্লাহের ওপর হামলায় জড়িত ব্যক্তিরা গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ১ মার্চ রাতে বিএমএর জরুরি সভা শেষে এই ঘোষণা দেন সংগঠনের জেলা সভাপতি ডা. শেখ বাহারুল আলম। মহানগরীর সাতরাস্তা মোড়ের বিএমএ ভবনে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আজ বেলা ১১টায় শেখ আবু নাসের হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ হবে। এদিকে চিকিৎসকদের কর্মবিরতির কারণে দূর-দূরান্ত থেকে আসা রোগীরা শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতাল, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল,খুলনা জেনারেল হাসপাতালসহ সরকারি-বেসরকারি কোনো হাসপাতাল-ক্লিনিকে চিকিৎসাসেবা না পেয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। এ সময় অনেক রোগী ও তাদের স্বজনদের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করতেও দেখা যাচ্ছে।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বৃদ্ধ এক রোগী বলেন, আমরা অনেক দূর থেকে এসেছি। আমরা কিছু জানি না। হাসপাতালের বারান্দায় বসে আছি এখন দেখি ডাক্তার নাই। শরীরটা ভীষণ দুর্বলজানি না কীভাবে বাড়ি ফিরে যাব!
হামলায় আহত চিকিৎসক ডা. শেখ নিশাত আব্দুল্লাহ বাদী হয়ে বুধবার সাতক্ষীরায় কর্মরত পুলিশের সহকারী পরিদর্শক (এএসআই) নাঈমুজ্জামান শেখ সহ অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে নগরীর সোনাডাঙ্গা থানায় মামলা করেছেন।
যাদের বিরুদ্ধে চিকিৎসক নিশাতের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে তারা জানান ভিন্ন কথা। কাছে চিকিৎসা নিতে আসা শিশুর মাকে কু-প্রস্তাব দেন বলে অভিযোগ। রাজি না হওয়ায় তার শিশুর অপচিকিৎসা করেন চিকিৎসক। এতে করে শিশু তার বাম হাতের একটি আঙ্গুল হারান। শিশুটির মা সাতক্ষীরা পুলিশের এএসআই মো: নাঈমুজ্জামানের স্ত্রী নুসরত আরা ময়না বুধবার (১ মার্চ) খুলনা প্রেসক্লাবে গিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন। তিনি চিকিৎসকের বিরুদ্ধে কু-প্রস্তাব দেওয়ার পাশাপাশি সন্তানের চিকিৎসায় অবহেলা এবং তার হাতের আঙুলে পচন ধরার অভিযোগ আনেন। এবং তিনি নগরীর সোনাডাঙ্গা থানায় গিয়ে দুই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনে মামলা করেন।