জাতীয়

কূটনৈতিক মিশন বাড়ানোর চেষ্টা ঢাকার…

কূটনৈতিক মিশন বাড়ানোর চেষ্টা ঢাকার…

ঢাকায় বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিক মিশন বাড়ানোর চেষ্টা করছে সরকার। সে লক্ষ্যে দীর্ঘ দিন ধরে বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে আলোচনাও চালিয়ে যাচ্ছে।
কয়েকটি দেশ ইতোমধ্যেই ঢাকায় নতুন মিশনও খুলেছে। এছাড়াও আরও কয়েকটি দেশ মিশন খোলার উদ্যোগও নিয়েছে।

গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় দীর্ঘ ৪৫ বছর পর কূটনৈতিক মিশন খোলে আর্জেন্টিনা। গত ফুটবল বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনাকে বাংলাদেশের ভক্তরা অকুণ্ঠ সমর্থন দূতাবাস খুলতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। এর মধ্যে রয়েছে মেক্সিকো, উজবেকিস্তান ও পোল্যান্ড এবার আরও কয়েকটি দেশ ঢাকায় মিশন খোলার উদ্যোগ নিয়েছে।

উজবেকিস্তান:- উজবেকিস্তানও ঢাকায় মিশন খোলার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তাশখন্দে বাংলাদেশের দূতাবাস থাকলেও ঢাকায় উজবেকিস্তানের কোনো দূতাবাস নেই। বেশ কয়েক বছর ধরে উজবেকিস্তানকে অনুরোধ করা হয়, ঢাকায় দেশটি যেন তাদের মিশন খোলে। সূত্র জানায়, চলতি বছরের শেষে উজবেকিস্তান ঢাকায় দেশটির মিশন খুলতে পারে।

মেক্সিকো:- লাতিন আমেরিকার এ দেশটি এবার বাংলাদেশে দূতাবাস খুলতে যাচ্ছে। চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়ে মেক্সিকো বাংলাদেশে দূতাবাস খুলবে বলে জানিয়েছে। মেক্সিকোতে বাংলাদেশের দূতাবাস থাকলেও ঢাকায় দেশটির কোনো দূতাবাস নেই।

পোল্যান্ড:- ২০০২ সালে পোল্যান্ডে বাংলাদেশের দূতাবাস বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর তিন বছর পর ২০০৫ সালে পোল্যান্ডও ঢাকায় দূতাবাস বন্ধ করে দেয়। বাংলাদেশ ও পোল্যান্ড উভয় দেশেই কূটনৈতিক মিশন ছিল। তবে এরপর বাংলাদেশ ২০১৫ সালে পোল্যান্ডে দূতাবাস খোলে। তারপর থেকেই পোল্যান্ডের কাছে ঢাকায় মিশন খোলার জন্য অনুরোধ জানানো হয়। পোল্যান্ডও আশ্বাস দিয়েছে খুব শিগগিরই বাংলাদেশে তাদের মিশন খুলবে।
রাজধানীতে বিভিন্ন দেশের মোট ৫১টি দূতাবাস ও হাইকমিশন রয়েছে। এছাড়া ভারতের ৩৪টি মিশনে বাংলাদেশে দায়িত্বপ্রাপ্ত অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত রয়েছেন। তারা ভারত থেকে বাংলাদেশের সঙ্গে কূটনৈতিক কার্যক্রম চালিয়ে যান।
এদিকে দক্ষিণ আফ্রিকা, কেনিয়া, পর্তুগাল, রোমানিয়া থেকেও ঢাকায় মিশন খোলার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
ঢাকায় নতুন মিশন খোলার বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন কূটনৈতিক মিশন বাড়লে উভয় দেশের জন্যই ভালো। আমরা বিভিন্ন দেশকে ঢাকায় মিশন খোলার জন্য অনুরোধ জানিয়েছি। ইতোমধ্যেই আর্জেন্টিনা ঢাকায় মিশন খুলেছে। মেক্সিকোসহ আরও বেশ কয়েকটি দেশ এ বিষয়ে ইতিবাচক আশ্বাসও দিয়েছে। বিদেশে আমরা যেমন আমাদের মিশন বাড়াতে চাই, আমরাও চাই ঢাকায় অন্যদের মিশন বাড়ানো হোক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *