রেখার ১০ পরের দিনই ১১ অক্টোবর জন্মদিন অমিতাভের
রেখার ১০ পরের দিনই ১১ অক্টোবর জন্মদিন অমিতাভের
একসময়ের আলোচিত জুটি অমিতাভ বচ্চন ও রেখা একেবারেই আলাদা বলিউডে এত বছরে এত মানুষের প্রেম, পরকীয়া, বিচ্ছেদ ও নতুন জুটি এসেছে। আজও যেন কী একটা রয়েই গিয়েছে দু’জনের মধ্যে। তাই হয়তো রেখার জন্মদিন ১০ অক্টোবর, ঠিক তার পরের দিনই অর্থাৎ ১১ অক্টোবর জন্মদিন অমিতাভের। সিলসিলা সিনেমার মতো দু’জনের সত্যিকারের জীবনেও এক অদ্ভুত ‘সিলসিলা’ অর্থাৎ রহস্যময় মিল রয়েই গেছে।
রাঙ্গুলা রত্নম নামে একটি তেলেগু সিনেমার মাধ্যমে ১৯৬৬ সালে শিশুশিল্পী হিসেবে তার অভিনয় জীবন শুরু হয়। ১৯৭০ সালে নায়িকা হিসেবে শাওন ভাদো নামে একটি সিনেমাতে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি বলিউডে যাত্রা শুরু করেন। রেখা শুরুর দিকে খুব একটা সাফল্য না দেখলেও, সত্তরের দশকের মাঝামাঝিতে এসে পরিচিতি পান। ১৯৬৯ সালে বলিউড শাহেনশাহ অমিতাভের শুরুটা সাত হিন্দুস্তানি’ সিনেমার মাধ্যমে। নবাগত হিসেবে ঐ সিনেমায় অমিতাভ বচ্চন জাতীয় পুরস্কারও পেয়েছিলেন। অমিতাভ বচ্চনের উত্থান হয় ‘আনন্দ’ সিনেমার হাত ধরে।
অমিতাভ বচ্চনকে এর পর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। অমিতাভ বচ্চন ও রেখা ১৯৭৬ সালে মুক্তি পাওয়া দো আনজানে’ সিনেমায় প্রথমবারের মতো জুটি বেঁধে অভিনয় শুরু। একসঙ্গে কাজ সুবাধে রেখার প্রেমে পড়ে যান অমিতাভ। তবে অমিতাভ-রেখার প্রেমের ৩ বছর আগেই জয়া ভাদুড়িকে বিয়ে করেছিলেন অমিতাভ।
একের পর এক ব্যবসাসফল সিনেমা উপহার দিয়েছেন এই সফল জুটি প্রেমের সম্পর্ক তারা কেউই কখনো স্বীকার করল না। অমিতাভ-রেখার কোন সিনেমা মুক্তি পেলেই তাদের রোমান্টিক রসায়নের স্বাদ পেতে দর্শকরাও প্রেক্ষাগৃহে হুমড়ি খেয়ে পড়তেন। বাস্তব জীবনে তাদের রহস্যময় প্রেমের কারণেই সম্ভবত দর্শকের মধ্যে এ জুটিকে নিয়ে ছিল ব্যাপক আগ্রহ। অমিতাভ ও রেখা অভিনীত প্রায় সব ছবিই বক্স অফিসে ঝড় তুলেছে।
সিলসিলা অমিতাভ, রেখা ও জয়ার ত্রিভুজ প্রেমের বিষয়বস্তু নিয়ে ছবিটি নির্মাণ করেছিলেন নির্মাতা যশ চোপড়া। ছবিটি ‘মুক্তি পেয়েছিল ১৯৮১ সালে অত্যন্ত সচেতনভাবে এ সিনেমার পাত্র-পাত্রী হিসেবে অমিতাভ, রেখা ও জয়া বচ্চনকে নির্বাচন করেছিলেন যশ চোপড়া। হিন্দি চলচ্চিত্রের ইতিহাসে আজও ব্যবসাসফল ছবি হিসেবে মাইলফলক হয়ে আছে ‘সিলসিলা’। ছবিটি মুক্তির পর আর কখনোই একসঙ্গে অভিনয় করেননি অমিতাভ-রেখা। এমনকি আর কোনো অনুষ্ঠানেও একসঙ্গে পর্দা কাঁপাতে হাজির হতে দেখা যায়নি এই জুটিকে।
নীলম কোঠারি কাছে কলকাতা খুব গুরুত্বপূর্ণ
১৯৭৮ সালে একটি পত্রিকায় দেয়া রেখার সাক্ষাৎকার তুলে ধরেছেন ইয়াসের উসমান রেখা দি আনটোল্ড স্টোরি’ গ্রন্থে। রেখা জানিয়ে ছিলেন, মুকদ্দর কা সিকন্দর’ ছবির এক স্ক্রিনিংয়ে প্রথম সারিতে বসা জয়া বচ্চনের চোখে আসা অশ্রুকে প্রত্যক্ষ করেছিলেন তিনি। এর পরের সপ্তাহে অমিতাভের কাছ থেকে বার্তা আসে আর কোনো ছবিতে তিনি ও রেখা একত্র হবেন না। এমন সিদ্ধান্তে, প্রশ্ন অবশ্যই করেছিলেন রেখা অমিতাভ উত্তরের বলেছিল না, এবিষয়ে আর কোনো শব্দ তিনি উচ্চারণ করতে চান না।
সাক্ষাৎকারে রেখা আরোও জানিয়েছিলেন, অমিতাভ এক সময়ে তাকে ২ টি আংটি উপহার দেন। সেই আংটি দু’টি তিনি কখনোই খুলে রাখেননি। ঘটনার পরে তিনি আর সেগুলি পরেননি উপহার দাতাকেই ফিরিয়ে দেন।