ভৈরবে ট্রেনের দরজা চুরির সময় আটক ১
ভৈরবে ট্রেনের দরজা চুরির সময় আটক ১
গত ২৩ অক্টোবর ভৈরবে ট্রেন দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত বগির দরজা চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় রোববার রাতে এলাকাবাসী শাওন নামে এক চোরকে আটক করে রেলওয়ে থানায় সোপর্দ করেছে। এ সময় আরও ২ চোর পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ৩ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেছে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর ইন্সপেক্টর তাজবির আহমেদ। শাওন নেত্রকোনার কেন্দুয়ার বাসিন্দা বাকিরা হলেন, সুরুজ মিয়া ও শাওন। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের অবহেলায় বগির মূল্যবান যন্ত্রাংশ চুরি হচ্ছে।
জানা গেছে, ভৈরবে রেলস্টেশনের আউটার সিগনালে কিশোরগঞ্জ-ঢাকাগামী এগারসিন্ধু আন্তঃনগর ট্রেনটি একটি কনটেইনার ট্রেনের সঙ্গে গত ২৩ অক্টোবর, দুর্ঘটনা ঘটলে ২০ জন নিহত হয়। এতে আহত হয় আরও প্রায় শতাধিক যাত্রী। দুর্ঘটনা এগারসিন্ধু ট্রেনের তিনটি বগি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঘটনার দিন সারা রাত চেষ্টা করে রেলওয়ের রিলিফ ট্রেন বগিগুলো লাইন থেকে সরিয়ে লাইনের পাশে ফেলে রাখে। গত ৭ দিন যাবত ক্ষতিগ্রস্ত বগিগুলো পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকলেও পাহারা দেওয়ার মতো কেউ নেই। দিনের বেলায় ভৈরব রেলস্টেশনের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা মাঝে মধ্যে পড়ে থাকা বগিগুলো পাহারা দিলেও রাতে আর কোনো পাহারাদার থাকে না।
অবসরে মালদ্বীপে গিয়েছেন অনন্যা-আদিত্য
অপরদিকে রেলওয়ের নিরাপত্তা বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়, জনবলের অভাবে তারা সর্বক্ষণ ক্ষতিগ্রস্ত বগি পাহারা দিতে পারছে না। রেলওয়ে পুলিশ বলছে ট্রনের বগি পাহারা দেওয়ার দায়িত্ব তাদের নয়। অভিযোগ রয়েছে স্থানীয় ছিনতাইকারী, মাদকসেবী ও চোরের দল প্রতিদিন বগির মূল্যবান লোহার অংশ, বিভিন্ন যন্ত্রাংশ, সিটকভার, দরজা জানালা রাতের আঁধারে চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে।
রেলওয়ের নিরাপত্তা বাহিনীর ইন্সপেক্টর জানান, বগিগুলো যেহেতু রেলস্টেশনের নিকটে রেললাইনের পাশে রাখা আছে। তাই পাহারা দেওয়ার দায়িত্ব আমাদের তবে আমাদের জনবল মাত্র ৯ জন। তারপরও প্রতিদিন দিনে আমরা টহল করে বগি পাহারা দিয়ে যাচ্ছি। এই নয়জন সদস্য রেলস্টেশনের বিভিন্ন অপরাধ দমনে ও যাত্রীদের সেবা দিতে কাজ করে। অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করে বগি পাহারা দিতে দিনরাত বগির কাছে থাকা নিরাপত্তা বাহিনীর পক্ষে সম্ভব নয়।