কোমরের ব্যথা কমানোর উপায় ব্যায়াম
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিয়মিত স্ট্রেন্থেনিং এক্সারসাইজ করতে হবে। চাইলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মতো ছোটখাট ওজনও তুলুন। চিকিৎসকরা বারবার বসার সময় সঠিক ভঙ্গি বজায় রাখতে বলেন এবং বেশিক্ষণ এক নাগাড়ে বসবেন না ও মাঝে মাঝে উঠে দাঁড়ানোর পরামর্শ দেন। কোমরে ব্যথা নিয়ে বিছানায়া শুয়ে কাটালে সমস্যা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। চেষ্টা করুন হেঁটেচলে বেড়ানোর দিনে পক্ষে ৩০ মিনিট হাঁটার চেষ্টা করুন।
কোমরের ব্যথা কমানোর উপায় ব্যায়াম
অনেক কারণেই কোমরে ব্যথা হতে পারে। তবে সব কারণই মূলত ৫টি বিষয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত মাংসপেশি, মেরুদণ্ড, লিগামেন্টস, জয়েন্টস ও স্নায়ু। এগুলোর কোনো একটি আঘাতপ্রাপ্ত ও ক্ষতিগ্রস্ত হলে কোমরে ব্যথা শুরু হতে পারে। অনেকেই স্পনডাইলোসিস বা মেরুদণ্ড সোজা হয়ে যাওয়া সমস্যায় ভুগছেন।
তবে তাঁদের ক্ষেত্রে এক্সারসাইজ বা ব্যায়াম গুরুত্বপূর্ণ উন্নতি সাধন করতে পারে। ব্যায়ামের ফলে মেরুদণ্ড যেমন স্বাভাবিক অবস্থানে থাকে ও তার নড়াচড়া স্বাভাবিক থাকে, একই সঙ্গে মাংসপেশি, ডিস্ক বা স্নায়ু স্বাভাবিক রক্ত চলাচল বজায় রাখতে পারে।
ব্যথা উপশমে করণীয়:-
# স্ট্রেচিং করুন নিয়মিত:- ব্যথা অনায়াসে কমানো যায় কোমরের পেশির নমনীয়তা বজায় রাখতে পারলে, তাই নিয়মিত স্ট্রেচিং এক্সারসাইজ করুন। তবে বিভিন্ন ধরনের কোমরের স্ট্রেচিং ব্যায়াম করতে পারলেই দেখবেন আপনার সমস্যা অনেক কমেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিয়মিত স্ট্রেন্থেনিং এক্সারসাইজ করতে হবে। চাইলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মতো ছোটখাট ওজনও তুলুন। কিন্তু এই ধরনের ব্যায়াম করার আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
# সঠিক ভঙ্গিতে বসতে হবে:- বেশিরভাগ সময়ই অফিসে কম্পিউটারের সামনে বসে কাজ করা ব্যক্তিদেরই এই অসুখ বেশি হয়। কোমরে ব্যথার অন্যতম কারণ হল, অদ্ভুত ভঙ্গিতে দীর্ঘক্ষণ চেয়ারে বসে কাজ করা। তাই দীর্ঘক্ষণ বসে থাকতে হয়, এমন যে কোনও কাজের সঙ্গে যুক্ত মানুষদেরই এই সমস্যা হতে পারে। তাই চিকিৎসকরা বারবার বসার সময় সঠিক ভঙ্গি বজায় রাখতে বলেন এবং বেশিক্ষণ এক নাগাড়ে বসবেন না ও মাঝে মাঝে উঠে দাঁড়ানোর পরামর্শ দেন। এমন চেয়ার ব্যবহার করুন যাতে পিঠ, ঘাড়, কোমর রেস্ট পায়।
# ওজন কমান:- এই ধরনের সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে ওজন বেশি থাকলে। আসলে ওবেসিটি থাকলে হাড়ের উপর বেশি চাপ পড়ে যার কারণে কোমড়ে সমস্যা দেখা দিতে পারে। সেই তালিকা থেকে বাদ যায় না লো ব্যাক পেইনও। তাই চিকিৎসকরা ওজন বেশি থাকলে তা কমাতে বলেন। এই অসুখের প্রকোপ অনেকটাই কমে যায় ওজন স্বাভাবিক অবস্থায় আনতে পারলেই, এক্ষেত্রে ফ্যাট জাতীয় খাবার কম খান ও নিয়মিত হাঁটুন। এই উপায়েই ব্যথা অচিরেই কমবে যাবে।
আরও পড়ুন: খালি পেটে জিরা পানি খাওয়ার উপকারিতা
# ঠান্ডা-গরম সেক:- হার্ভার্ড হেলথ জানাচ্ছে, ঠান্ডা বা গরম সেক দিলে এই সমস্যা কয়েকগুণ কমতে পারে বলে। আসলে ঠান্ডা- গরম সেক দিলে ব্যথা কমে, এমনকী ওই অংশে রক্তচলাচল ঠিকমতো হয়। তাই সেক দেওয়ার চেষ্টা করুন, কিছুক্ষণ গরম সেক দেওয়ার পর বরফ দিয়ে ঠান্ডা সেক দিতে পারেন। বিশেষত, পুরনো ব্যথা কমানোর ক্ষেত্রে এই কৌশলটি অত্যন্ত কার্যকরী ও এভাবে সেক দিলে আরাম মেলে।
# বসে না থাকা:- অনেকেই কোমরে ব্যথা নিয়ে বিছানায়া শুয়ে কাটাতে চান, শুলে তাঁদের আরাম লাগে। কিন্তু চিকিৎসকরা বলছেন, কোমরে ব্যথা নিয়ে বিছানায়া শুয়ে কাটালে সমস্যা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। চেষ্টা করুন হেঁটেচলে বেড়ানোর দিনে পক্ষে ৩০ মিনিট হাঁটার চেষ্টা করুন। হাঁটতে পারলেই অনায়াসে কোমর, পিঠের ব্যথা কমবে।
মন্তব্য:- যে কোন সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আপনি চিকিৎসকের পরামর্শ নিন, কেননা প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে।
Pingback: মুলা শাকের উপকারিতা - amaderkhabar