শীতেও মাঝেমধ্যে ঘরের সব জানালা খুলে দিন
অন্দরের বাতাস দূষিত করে তোলে, আমাদের নিঃশ্বাসের সঙ্গে যেমন, বেরিয়ে আসে কার্বন ডাই–অক্সাইড, আবার রান্নাবান্নায় ব্যবহৃত জ্বালানি থেকেও এরই জন্য মাঝেমধ্যে ঘরের সব জানালা খুলে দিন। ধুলাবালু উড়ছে বা যানবাহনের ধোঁয়ায় যখন বাইরের বাতাস ভরপুর, তখন কিন্তু জানালা বন্ধ রাখাই শ্রেয়।
শীতেও মাঝেমধ্যে ঘরের সব জানালা খুলে দিন
বাইরের হিম শীতল হাওয়া থেকে বাঁচতে জানালা বন্ধ রাখা ভালো, তবে সব সময়ের জন্য জানালা বন্ধ রাখা কিন্তু উচিত নয়। হোক না পৌষ-মাঘের হিম হিম দিন। কিছুক্ষণ জানালা খোলা রাখুন, প্রকৃতির বিশুদ্ধ হাওয়া ঢুকতে দিন আপনার অন্দরে…
চাই পরিশুদ্ধতা:-
আমাদের নিঃশ্বাসের সঙ্গে যেমন, বেরিয়ে আসে কার্বন ডাই–অক্সাইড, আবার রান্নাবান্নায় ব্যবহৃত জ্বালানি থেকেও এমন রাসায়নিক তৈরি হয়, এবং অন্দরের বাতাস দূষিত করে তোলে। অন্দরে ব্যবহৃত নানান উপকরণের কারণে বাতাস বিশুদ্ধতা হারায়। অন্দরের বাতাস পরিশুদ্ধ করতে চাই প্রাকৃতিক হাওয়ার উদ্দাম নাচন। এরই জন্য মাঝেমধ্যে ঘরের সব জানালা খুলে দিন।
দুর্গন্ধ দূর করতে:-
এগজস্ট ফ্যান বা কিচেনের চিমনির মতো কিছু অনুষঙ্গ ব্যবহার করলেই যে দুর্গন্ধের সমাধান হয়ে যাবে, তা কিন্তু নয়। অন্দরের অবিশুদ্ধ বাতাসে উৎকট গন্ধ বা রান্নাবান্না ছাড়াও বদ্ধ ঘরে ভ্যাপসা দুর্গন্ধ হতে পারে। তাই বায়ু বা বিশুদ্ধ হাওয়া চলাচলের ব্যবস্থা করুন।
খানিক আর্দ্রতা চাই:-
শীতের বাতাস শুষ্ক, এই বাতাস মানবদেহের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। কিন্তু বাইরের বাতাস ঘরে ঢুকলে ঘরের বাতাস অতিরিক্ত শুষ্ক হতে পারে না।
মনটাও ভালো থাক:-
মন বিষণ্ন হয়ে উঠতে পারে শীতকালে, তাজা বাতাসে উদ্দীপনা অনুভব করেন কেউ কেউ। তাই মন ভালো রাখতে জানালা খুলে দিন। তাজা বাতাস মনমেজাজ ভালো রাখতেও কাজে দেয়।
রোদের জন্য:-
শহুরে বহুতল ভবন গায়ে গায়ে লাগোয়া, তাই বহুতল ভবনেন জানালা দিয়ে রোদ আসার সম্ভাবনা খুব কম। আবার অনেক বাড়িতেই খোলা জানালা দিয়ে রোদ আসতে পারে, রোদের তাপে অন্দরের তাপমাত্রা বাড়ে। কিন্তু আপনি যদি সরাসরি ঐ রোদ পোহান, তাহলে আপনি পাবেন মূল্যবান ভিটামিন ডি।
আরও পড়ুন: রাতের খাওয়া সন্ধ্যা সাতটার ভেতর সারবেন
খেয়াল রাখুন
জানালা কেন খুলতে হবে, তবে মন চাইল আর জানালা খুলে দিলেন এমনটাও যেন না হয়। খেয়াল রাখুন এসব বিষয়ে…
## জানালা খুলে দিন রৌদ্রজ্জ্বল, ঝলমলে দিনে। বাইরের তাপমাত্রা যখন কম কিংবা বইছে ঠান্ডা হাওয়ার স্রোত, সে সময় জানালা খোলা না রাখাই ভালো। বিশেষ করে বাড়িতে যদি বয়োবৃদ্ধ ব্যক্তি, নবজাতক বা শিশু থাকেন কিংবা এমন কেউ থাকেন, যাঁর ঠান্ডায় অ্যালার্জি (কোল্ড অ্যালার্জি) আছে। এই বিষয়ে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি।
## হিম হিম প্রহরে জানালা না খুলাই ভালো, বরং সে সময় জানালায় ভারী পর্দা টানিয়ে রাখা ভালো।
## ঘরের বাইরে যখন ধুলাবালু উড়ছে বা যানবাহনের ধোঁয়ায় যখন বাইরের বাতাস ভরপুর, তখন কিন্তু জানালা বন্ধ রাখাই শ্রেয়।
## সন্ধ্যায় জানালা খোলা রাখলে ঘরে মশা ঢুকে যায় শীত মৌসুম হলেও ডেঙ্গু জ্বর হচ্ছে এখনো। তাই আরও একটি বিষয় খেয়াল রাখা উচিত। আবার যে সময় বাইরে মশার ওষুধ দেওয়া হয়, তাই সে সময়ও মশা পালিয়ে বাঁচার জন্য ঘরের ভেতর ঢুকে যেতে পারে। এ রকম সময়ে জানালা বন্ধ রাখুন।
সূত্র:-রিডার্স ডাইজেস্ট.
Pingback: হানি নাট খাওয়ার উপকারিতা - amaderkhabar
Pingback: গোসলের ফরজ কয়টি ও কী কী - amaderkhabar
🌨🌧🌨🌨🌨🌧🌧
Thank U.