নায়াগ্রা জলপ্রপাতের হৃদয় ছোঁয়া নৈসর্গিক সৌন্দর্য দেখতে এমনিতেই প্রতিবছর পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কোটি কোটি পর্যটক জড়ো হন। পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম জলপ্রপাত নায়াগ্রা। লাখ লাখ দর্শনার্থীকে ওই দিন স্বাগত জানাতে নায়াগ্রা জলপ্রপাতের কানাডা অংশের আশপাশের শহরে জরুরি অবস্থা জারি করেছে কানাডার কর্তৃপক্ষ। নায়াগ্রা ফলস মেয়র জিম ডিওডাটি বলেছেন, দিনটি ঘিরে ১ দিনে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক দর্শনার্থীর সমাগম হতে পারে বলে তাদের আশা।

নায়াগ্রায় জলপ্রপাতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা

পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ হবে আগামী ৮ এপ্রিল। সূর্যগ্রহণের এই দৃশ্য যে সকল স্থান থেকে সবচেয়ে ভালো দেখা যাবে, সেগুলোর নায়াগ্রা জলপ্রপাত একটি। এমনটাই জানিয়েছে, ন্যাশনাল জিওগ্রাফি।

তবে এ নিয়ে কানাডার কর্তৃপক্ষ মধুর এক সমস্যায় পড়েছে। লাখ লাখ দর্শনার্থীকে ওই দিন স্বাগত জানাতে নায়াগ্রা জলপ্রপাতের কানাডা অংশের আশপাশের শহরে জরুরি অবস্থা জারি করেছে কানাডার কর্তৃপক্ষ।

কানাডার অন্টারিও প্রদেশে ১৯৭৯ সালের পর পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে। যেসব স্থান থেকে এই সূর্যগ্রহণ সবচেয়ে ভালো দেখা যাবে, নায়াগ্রা জলপ্রপাত সেগুলোর একটি বলে ন্যাশনাল জিওগ্রাফি জানিয়েছে।

কানাডার অন্টারিও প্রদেশের দক্ষিণ-পূর্বে ও আমেরিকার নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত নায়াগ্রা জলপ্রপাত। নায়াগ্রা নদীর প্রবাহিত পানি থেকেই এই নায়াগ্রা জলপ্রপাতের সৃষ্টি হয়েছে। পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম জলপ্রপাত নায়াগ্রা। তাই নায়াগ্রা জলপ্রপাতের হৃদয় ছোঁয়া নৈসর্গিক সৌন্দর্য দেখতে এমনিতেই প্রতিবছর পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কোটি কোটি পর্যটক জড়ো হন।

আগামী ৮ এপ্রিল সূর্যগ্রহণের দিনে, চাঁদ মাত্র কয়েক মিনিটের জন্য সূর্যের রশ্মি পুরোপুরি আড়াল করে দেবে। আর সূর্যগ্রহণের সেই দৃশ্য অন্টারিও শহর থেকে ভালোভাবে দেখা যাবে। তাই সূর্যগ্রহণের এই দৃশ্য দেখতে ওই দিন বিপুলসংখ্যক দর্শনার্থী সমাগম হবে নায়াগ্রা জলপ্রপাতে। মার্চের শুরুর দিকে নায়াগ্রা ফলস মেয়র জিম ডিওডাটি বলেছেন, দিনটি ঘিরে ১ দিনে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক দর্শনার্থীর সমাগম হতে পারে বলে তাদের আশা।

আরও পড়ুন: সৌদি আরবের চোখ ধাঁধানো ট্রিয়াম রিসোর্টের উন্মোচন

নায়াগ্রা আঞ্চলিক পৌর কর্তৃপক্ষ বিশেষ এই দিন ঘিরে প্রস্তুতির অংশ হিসেবে আগে থেকেই জরুরি অবস্থা জারি করেছে, তাই গত বৃহস্পতিবার এই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। তবে দিনটি ঘিরে তাদের অতিরিক্ত প্রস্তুতির পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে, যানজট নিয়ন্ত্রণ, বর্ধিত জরুরি পরিষেবার চাহিদা পূরণ ও মুঠোফোনর নেটওয়ার্কে চাপ সামলানো।

মেক্সিকোর প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলে এই সূর্যগ্রহণ পৌঁছাবে সকালের দিকে ও যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস থেকে মেইন পর্যন্ত তির্যকভাবে কেটে বিকেল নাগাদ কানাডার পূর্বাঞ্চলে পৌঁছাবে। এই মহাদেশের বাকি অংশে আংশিক ভাবে সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে।