কোলেস্টেরল কমানোর উপায়…
কোলেস্টেরল কমানোর উপায়…
চেষ্টা করতে হবে জীবনযাপনে পরিবর্তন এনে কোলেস্টেরলের ভারসাম্য ঠিক রাখতে। তা সত্ত্বেও যদি কোলেস্টেরলকে বশে আনা না যায়, তা হলে সাবধানে থাকতে হবে। কম বয়সে কোলেস্টেরলকে অবহেলা করা বোকামি। কারণ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে না রাখলে আরও অনেক শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। হতে পারে হৃদরোগও। কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ নয়। দৈনন্দিন জীবনে প্রচুর নিয়ম মেনে চলা জরুরি। অতিরিক্ত তেল-মশলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলতে বলেন চিকিৎসকেরাই। জানেন কি হেঁশেলের
মশলা দিয়েই এই রোগকে কাবু করা যায়?
দারচিনি:-দা রচিনিতে থাকে সিনাম্যালডিহাইড নামক একটি যৌগ, যা রক্তের শর্করার পরিমাণ কমিয়ে আনতে সাহায্য করে। রক্তে থাকা এই শর্করার প্রভাব পড়ে ট্রাইগ্লিসারাইড-এর উপর। যার ফলে বাড়তে পারে হৃদরোগের ঝুঁকিও।
গোলমরিচ:- এই মশলায় রয়েছে প্যাপরিন নামক একটি যৌগ। যা রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। গোলমরিচের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর যৌগ হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমায়।
মেথি:- সাম্প্রতিক গবেষণায় জানা গিয়েছে, মেথিতে থাকা স্যাপোনিন্স’নামক যৌগটি কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি, রক্তে শর্করার ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে। ফোড়ন হিসেবে অনেকেই রান্নায় মেথি ব্যবহার করে থাকেন।
হলুদ:- হলুদে রয়েছে কারকিউমিন। কারকিউমিন নামক এই যৌগটিই রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দিতে পারে। পাশাপাশি ভাল কোলেস্টেরল অর্থাৎ এইচডিএল এর পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পারে।
আদা:- আমিষ বা নিরামিষ সব রান্নাতেই আদা দেওয়ার চল রয়েছে। আদায় থাকা জিনজেরল্স এবং শোগাওল্স নামক দু টি যৌগ রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে আনতে সাহায্য করে। ফলে ধমনীতে মেদ জমতে পারে না সহজে।