দৃষ্টি প্রতিবন্ধীও তুলবেন ছবি, ঘোষণা দিল সনি…
সরাসরি ক্যামেরা থেকে ব্যবহারকারীর রেটিনায় ডিজিটাল ছবি পৌঁছে দেবে। জাপানি কোম্পানি কিউডি লেজারের রেটিসা নিওভিউয়ার ব্যবহৃত হয়েছে।
এই বিশেষ ক্যামেরার ঘোষণা দিয়েছে প্রযুক্তি জায়ান্ট সনি। এর ফলে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী জনগুষ্ঠিও ব্যবহারকারীরা পাবেন ছবি তুলার পারার আনন্দ। নতুন এই ডিভাইসের নাম ডিএসসি-এইচএক্স৯৯ আরএনভি। আগেও এ৭ আরভি ও এ৭ এস ৩ মডেলের মাধ্যমে ক্যামেরা প্রযুক্তিকে উচ্চতার অন্যতম শিখরে সনি নিয়ে গেলেও নতুন উন্মোচনে কোম্পানিটি এবার নতুন প্রান্তসীমা স্পর্শ করল বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে প্রযুক্তি বিষয়ক সাইট এনগ্যাজেট।
নতুন এই ডিভাইসটি সনি উন্মোচন করেছে গত সোমবার ১৩ মার্চ। বিশেষ এই ক্যামেরা ডিভাইসটি রেওয়াজের বাইরে গিয়ে সর্বশেষ সেন্সর বা অটোফোকাস সক্ষমতার ব্যবহার এড়িয়ে গিয়েছে জাপানি এই ফটোগ্রাফি জায়ান্ট।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই ডিভাইসটি দুটি অংশে গঠিত একটি হলো সনির পয়েন্ট অ্যান্ড শুট সুবিধা ও অন্যটি রেটিনাল লেজার প্রজেকশন সিস্টেম যুক্ত ভিউফাইন্ডার। সাইবারশট ডিএসসি-এইচএক্স৯৯ শ্রেণির এই ক্যামেরা প্রথম উন্মোচিত হয় ২০১৮ সালে। ডিভাইসটির পেছনের অংশে আছে একটি ১৮ মেগাপিক্সেলের ব্যাকলাইটযুক্ত সেন্সর বিল্ট-ইন ইমেজ স্ট্যাপপবিলাইজেশন ব্যবস্থা ও ২৪-৭২০ মি: মিটারের একটি জুম লেন্স। ভিউফাইন্ডারের জায়গায় এতে জাপানি কোম্পানি কিউডি লেজারের রেটিসা নিওভিউয়ার ব্যবহৃত হয়েছে। সরাসরি ক্যামেরা থেকে ব্যবহারকারীর রেটিনায় ডিজিটাল ছবি পৌঁছে দেয় এটি। সনি বলছে, এই প্রযুক্তি সবার বেলায় কাজ নাও করতে পারে। যাদের বেলায় এটি কাজ করবে তারা ভিউফাইন্ডারের মাধ্যমে ক্যামেরা ব্যবহার করে চেহারা বা সংকেত দেখার পাশাপাশি বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও ধারণ করতে পারবেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে এনগ্যাজেট। পুরোপুরি নতুন এক প্রযুক্তি যা পৃথিবীতে প্রথম বারের মতো লাগসই উপায়ে ব্যবহৃত হচ্ছে, বলেন কিউডি লেজারের প্রেসিডেন্ট ও সিইও ড. মিতসুরু সুগাওয়ারা। ক্যামেরাটির দাম পড়বে ছয়শ ডলারের মতো। এর মানে এই শ্রেণির মূল ক্যামেরার ডিএসসি-এইচএক্স৯৯ এর চেয়ে এর দাম বেশি নয়। তুলনামূলক অল্প দৃষ্টির কমিউনিটিকে সমর্থন জানানোর অংশ হিসাবে সনি বলছে তারা ডিভাইস উৎপাদনের বেশিরভাগ খরচ নিজেরাই বহন করবে। আর ডিভাইসটি কেবল সরাসরি সনির মাধ্যমে কেনা যাবে। পাশাপাশি ব্যক্তিপ্রতি কেবল একটি ডিভাইস কেনায় এটি সীমিত রাখবে সনি। এবং যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের বিভিন্ন স্কুলে অধ্যয়নরত দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ছাত্র/ছাত্রী ও ব্যক্তিদের এই ডিভাইস দেওয়ার বিষয়টিও পরিকল্পনা করেছে সনি।