লিপস্টিক পরার এই নয়া টিপস গুলো জানেন কি?
আপনি যতই সাজগোজ করুন না কেন, সবশেষে পোশাকের সঙ্গে মানানসই লিপস্টিক না পরলে সাজ ঠিক সম্পূর্ণ হয় না। মেকআপের অন্যতম অঙ্গ হল লিপস্টিক [Lipstick]। বিভিন্ন ধরনের লিপস্টিক বর্তমানে পাওয়া যায়। যেমন ম্যাট শেড, ন্যুড সেড ইত্যাদি। এছাড়াও রয়েছে লিকুইড লিপস্টিক, ক্রেয়ন এবং আরও অনেক ধরনের লিপস্টিক। যদি আপনি কোনও অনুষ্ঠান বাড়িতে যান, তাহলে নিশ্চয় চাইবেন সব মেকআপের সঙ্গে আপনার লিপস্টিকের শেডটাও দীর্ঘক্ষণ থাকুক। এক্ষেত্রে বুদ্ধি করে কিছু নিয়ম মেনে চলা প্রয়োজন। তাহলে আপনার লিপস্টিক আর ফিকে হবে না।
লিপস্টিক দীর্ঘক্ষণ স্থায়ী রাখার জন্য কী কী করবেন:-
# লিপ প্রাইমার লাগিয়ে তারপর লিপস্টিক পরুন। অতিরিক্ত লিপস্টিক টিস্যু পেপারে মুছে নিন। এবার তার উপর লাগাতে পারেন লিপ পাউডার। আলতো হাতে এই পাউডার লাগিয়ে নেবেন ঠোঁটের উপর।
# লিপস্টিক পরার পর অতিরিক্ত যে লিপস্টিক ঠোঁটে থাকবে সেটা একটা টিস্যু পেপার দিয়ে মুছে নেওয়া প্রয়োজন। এক্ষেত্রে সাধারণ টিস্যু পেপার ব্যবহার করা প্রয়োজন।
# অনুষ্ঠান বাড়িতে যখন যাবে তখন নিঃসন্দেহে ভুরিভোজের বন্দোবস্ত থাকবে। অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। খাবারের তেল সহজে লিপস্টিক ফিকে করে দেয়।
# সব রকমের সতর্কতা নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যে কাজটা অবশ্যই করবেন সেটা হল ব্যাগে অবশ্যই সেই শেডের লিপস্টিক রাখতে হবে যেটা আপনি পরে বাইরে বেরোচ্ছেন।
# ঠোঁট ফাঁটার সমস্যা থাকলে লিপস্টিক পরার আগে ঠোঁটে একটু ক্রিম লাগিয়ে নিতে পারেন। এর ফলে ঠোঁট নরম এবং মোলায়েম থাকবে। লিপস্টিক পরতে সুবিধা হবে।
ঠোঁটের যত্নে মেনে চলুন এই নিয়মগুলি:-
# ঠোঁটে স্ক্রাব করাও প্রয়োজন। এক্ষেত্রে সুগার স্ক্রাব খুব ভালভাবে কাজ করে। ঠোঁটের জৌলুস বাড়াতেও কাজে লাগে এই স্ক্রাব।
#প্রতিদিন ত্বকের যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি ঠোঁটের যত্নও নেওয়া প্রয়োজন। তাই ক্রিম ম্যাসাজ করা প্রয়োজন।
# যাঁদের ঠোঁট বেশি ফাটে তাঁরা গ্লিসারিন ব্যবহার করতে পারেন।