আশ্রায়ণ প্রকল্পে ঘর পেয়েছে আশুগঞ্জে ১৩৬ পরিবার…
আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় চতুর্থ পর্যায়ে নির্মাণ করা হয়েছে এসব সেমিপাকা ঘর। এর আগে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ে ও ১১৬টি পরিবারসহ উপজেলার সর্বমোট ১৩৬টি পরিবার মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে ঘর পেয়েছে। মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে ভূমিহীনদের জন্য নির্মিত আরো ২০টি ঘর উদ্বোধনের অপেক্ষায়।
আগামী ২২ মার্চ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের বেশ কয়েকটি উপজেলার সাথে আশুগঞ্জ উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত উপজেলা ঘোষণা করবেন। প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পরেই দুই শতাংশ জমির দলিলসহ এই ঘরগুলো উপকারভোগীদের মাঝে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর হবে উপজেলা প্রশাসন এর মাধ্যমে।
সরকারি খরচে নির্মিত সেমিপাকা ঘর পেয়ে দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন পূরণের আনন্দে আত্মহারা সুবিধাভোগী ১৩৬টি পরিবার। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে তারা। আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার শ্যামল চন্দ্র বসাক জানান, ইতোমধ্যেই উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুঙ্খানুপুঙ্খ যাচাই বাচাই শেষকরে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের তালিকা করে তাদের নামে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের একটি করে সেমিপাকা ঘর ও দুই শতক জমি রেজিস্ট্রি করে দেয়া হয়েছে।
শ্যামল চন্দ্র বসাক আরো জানান, উপজেলা আশুগঞ্জ সদর ইউনিয়নে ৩৮টি, আড়াইসিধা ইউনিয়নে ৫৬ টি, শরীফপুর ইউনিয়নে ৩৩ টি, তালশহর ইউনিয়নে ৫ টি ও তারুয়া ইউনিয়নে ৮ টি সহ সর্বমোট ১৩৬টি পরিবার প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে ঘর পেয়েছে। জনপ্রতিনিধিদের সাথে নিয়ে পরিদর্শন করে জায়গা বরাদ্দ থেকে শুরু করে সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক কাজ করেছে উপজেলা প্রশাসন। ইতোমধ্যে ভূমিহীন পরিবার ঘরে বসবাস শুরু করছে। এখানে রয়েছে খেলার মাঠ সহ, পানি নিষ্কাশনের ড্রেনেজ, পানি সরবরাহ ও বিদ্যুৎ ব্যবস্থা।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) সাইফুল ইসরাম জানান, দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ নির্মাণ আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় নকশা অনুযায়ী দৈর্ঘ্য সাড়ে ১৯ ফুট, প্রস্থ ২২ ফুট, ৮.৫ ফুট উচ্চতা সম্বলিত একটি বারান্দা, আট ফুট করে ২ টি কক্ষ, ১ টি রান্না ঘর, ১ টি গোসল খানা, ১ টি করে টয়লেটের ব্যবস্থা রয়েছে। ঘরগুলো নির্মিত হয়েছে দেড় ফুট মাটির নিচে ১০ ইঞ্চি ইটের ওপর ৫ ইঞ্চি দেয়ালের গাঁথুনি দিয়ে। শনিবার (১৮ মার্চ) সকালে সরেজমিনে গুচ্ছগ্রামে আশ্রায়ণ প্রকল্পের আওতায় নির্মিত ঘরে বসবাসকারীদের সাথে কথা বললে তারা জানান বিনামূল্যে এসব ঘর পেয়ে আনন্দে আপ্লুত সুবিধাভোগীরা। তাদের এ স্বপ্ন পূরণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঘরের সাথে জমির কাগজপত্রের মালিকানা পেয়ে তারা এখন ভীষণ খুশি।
আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর পাওয়া উপজেলার শরীফপুর গ্রামের নুরু মিয়া, আলী আজগর, জেসমিন আক্তার ও জুবেদা বেগমসহ অনেকেই প্রায় অভিন্ন ভাষায় বলেন, আমরা খুব খুশি যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের জন্য ঘরের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। আমরা স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারিনি যে, জমিসহ পাকা নতুন ঘর পাব। আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য দোয়া করি।