রেল লাইন বেঁকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেন দুর্ঘটনা

অতিরিক্ত গরমে রেল লাইন বেঁকে যাওয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মালবাহী ট্রেনের বগি লাইনচ্যুতি। স্থানীয় রেল কর্মকর্তা অতিরিক্ত গরমকে কারণ হিসেবে দায়ী করছেন।

২৭ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার বেলা ১টার দিকে শহরতলীর দাড়িয়াপুরে কন্টেইনারবাগী ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হয়ে চট্টগ্রাম ও সিলেট থেকে ঢাকামুখী ট্রেন বন্ধ হয়ে যায়। একটি লাইন দিয়ে এখন দুই পথে চলাচল হওয়ায় সবক’টি ট্রেন নির্ধারিত সময়ের চেয়ে কয়েক ঘণ্টা দেরিতে ছেড়ে যাচ্ছে। দুর্ঘটনা কবলিত ট্রেন উদ্ধার ও লাইন মেরামতের কাজ ৮ ঘণ্টা পরও শেষ করতে না হওয়ায় দুই দিকেই ট্রেনের সময় বিপর্যয় ঘটে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার বলেন, এদিন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। কিছুদিন আগে তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রির চেয়েও বেশি ছিল। অতিরিক্ত গরমে রেললাইন বেঁকে গিয়েছিল, চট্টগ্রাম থেকে আসা মালবাহী কনটেইনার ট্রেনটি এই লাইনের উপর দিয়ে যাওয়ার সময় ৭ টি বগি লাইনচ্যুত হয়।

৩৮ ডিগ্রির সময় লাইন বেঁকে না গেলে ৩৬ ডিগ্রিতে কেন বেঁকে গেল- এই প্রশ্নে স্টেশন মাস্টার রফিকুল বলেন, তা আমাদের জানা নেই, কেবল জানি, গরমে লাইন বেঁকে গিয়েছে।

দুর্ঘটনার পর আখাউড়া রেলজংশনের লোকোশেডে খবর দেওয়ার পরে উদ্ধারকারী ট্রেন এসে বিকালে উদ্ধার কাজ শুরু করে। রাত ৮টার দিকেও কাজ শেষ না হওয়ায় আপ লাইনে অর্থাৎ চট্টগ্রাম ও সিলেট থেকে ঢাকাগামী ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়নি। ট্রেনটির উদ্ধার কাজ শেষে ক্ষতিগ্রস্ত রেললাইন ও স্লিপার মেরামত শেষে করে ট্রেন চলাচল সচল হতে আরও দুই থেকে তিন ঘণ্টা লাগবে। দুর্ঘটনায় প্রায় চারশ মিটার রেলপথ ও স্লিপার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। লাইনচ্যুত কন্টেইনারবাহী ট্রেনটি উদ্ধারে কাজ করছে রেলকর্মীরা।

পানির জন্য হাহাকার দক্ষিণ-পশ্চিমে

প্রায় সোয়া ৪ ঘণ্টা দেরিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া অতিক্রম করে ময়মনসিংহগামী আন্তঃনগর বিজয় এক্সপ্রেস। চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী আন্তঃনগর চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনটি নির্ধারিত সময়ের প্রায় সাড়ে ৪ ঘণ্টা দেরিতে সন্ধ্যা ৬টার দিকে দুর্ঘটনাস্থল অতিক্রম করে। এই দুর্ঘটনার জন্য ঢাকা-চট্টগ্রাম-সিলেট ট্রেন চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। এক লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় ট্রেনের সময় বিপর্যয় ঘটেছে।