ওজন ও অ্যাসিডিটি কমায় জোয়ান
ওজন ও অ্যাসিডিটি কমায় জোয়ান
আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে এই জোয়ানকে মহৌষধি হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে। একটি বর্ষজীবি উদ্ভিদ জোয়ান এটি অ্যাপিয়াসি পরিবারের অন্তর্ভুক্ত। দেখতে অনেকটা ধনে গাছের মতো। রাঁধুনি ফুলের মতো এর বীজ। স্বাদ গন্ধ তীব্র, ঝাঁঝালো, অস্বস্তিকর। জোয়ান মূলত আয়ুর্বেদিক ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয় বহুকাল থেকেই।
তাই নিয়মিত এই প্রাকৃতিক উপাদানটি খেলে যে একাধিক প্রাণঘাতী রোগের ফাঁদ এড়িয়ে চলা সম্ভব হবে। আয়ুর্বেদ শাস্ত্র মতে, চিবিয়ে খাওয়ার তুলনায় একগ্লাস পানিতে এক চা চামচ জোয়ান ঘণ্টা খানেক ভিজিয়ে রেখে দিনের যে কোনো সময় খেয়ে নিলে বেশি উপকার মিলবে। তাই এর কিছু গুণের কথা ও কিন্তু কীভাবে খাবেন? জেনে নিই।
ওজন কমাতে:- ওজন কমাতে আপনাকে সাহায্য করতে পারে জোয়ান পানি। শরীরে আধিক্য মেদ থাকলে প্রেশার, ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরলসহ একাধিক জটিল অসুখে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। তাই যেনতেন প্রকারেণ ওজন কমাতে হবে। জোয়ানের পানীয়তে চুমুক দিলেই বিপাকের হার বৃদ্ধি পায় এতেই ফল পাবেন হাতেনাতে। যার ফলে দেহে উপস্থিত অতিরিক্ত মেদ গলে যেতে সময় লাগে না। তাই ওবেসিটির সমস্যায় ভুক্তভোগীরা অবশ্যই নিয়ম করে জোয়ান পানি খান।
সর্দি, কাশির সমস্যায়:- জোয়ান পানি রয়েছে কোডেইন নামক একটি উপাদান। সিজন চেঞ্জের সর্দি, কাশির মতো সমস্যায় একদম ধন্বন্তরির মতো কাজ করে জোয়ান পানি। এই উপাদান সর্দি, কাশির খেল খতম করার কাজে একাই একশো। জোয়ান পানি বন্ধ নাক খুলে দেয়ার কাজেও এর জুড়ি মেলা ভার। তাই এবার থেকে হঠাৎ করে ঠান্ডা লাগলে ওষুধ খাওয়ার পরিবর্তে জোয়ান পানি খেয়ে দেখুন।
জীবাণুর বিরুদ্ধে কাজ করে:- জোয়ানে রয়েছে অত্যন্ত উপকারী দুই উপাদান থাইমল, কার্ভাক্রলের। ব্যাকটেরিয়া ও ফাঙ্গাসের মতো জীবাণুর বিরুদ্ধে দারুণ কাজ করে এই দুই উপাদান। শরীরে কোথাও কেটে গেলে বা চুলকানি হলে জোয়ান জলে চুমুক দিন এতেও উপকার মিলবে। এছাড়া প্রয়োজনে সেই ক্ষতস্থানে বা চুলকানির জায়গায় জোয়ান জল লাগাতেও পারেন।
সৌদি প্রবাসীরা নিতে পারবেন পরিবারের সদস্য
কোলেস্টেরল কমাতে:- কোলেস্টরল নিয়ন্ত্রণে অবশ্যই জোয়ান পানি খান। জোয়ান পানি শরীরে প্রবেশ করে অত্যন্ত উপকারী কিছু অ্যান্টঅক্সিডেন্ট, যা এলডিএল বা খারাপ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়লে তা রক্তনালীর ভেতর জমেজেতে পারে ফলে স্বাভাবিক রক্ত চলাচলে ব্যাঘাত ঘটে এবং পিছু নেয় হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের মতো ঘাতক অসুখ। তাই বিশেষজ্ঞরা কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
অ্যাসিডিটির সমস্যায়:- নিয়মকরে অ্যান্টাসিড খাওয়ার বদলে সকাল উঠে এক গ্লাসে জোয়ান পানি চুমুক দিন। এতেই দেখবেন কিছুদিনের মধ্যে সমস্যার পাখি আপনার শরীর ছেড়ে চিরতরে উড়ে পালাবে। মাঝে মাঝেই গ্যাস, অ্যাসিডিটিতে ভোগেন তাহলে নিয়ম করে জোয়ান পানি চুমুক দিন এতেও উপকার মিলবে।
Pingback: বিদ্যুৎ চুরি মহোৎসব হাওরের হাউজবোটে - Amader Khabar
Pingback: স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায় যেসব অভ্যাস - Amader Khabar