সামগ্রিক সুস্থতার জন্যেও ভিটামিন ডি অত্যন্ত উপকারী। ভিটামিন ডি শরীরের হাড় মজবুত করা থেকে প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ক্লান্ত বোধ করেন, তবে এটি ভিটামিন ডি-র অভাবের কারণে হতেই পারে। ডি-র ঘাটতির লক্ষণ হতে পারে যেমন: ঘন ঘন ভাইরাল জ্বর, সর্দি-কাশিতে ভুগছেন ।

ভিটামিন ডি অভাবের লক্ষণ

প্রোটিন, মিনারেল, ফাইবার এর মতো ভিটামিন ডি শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। ভিটামিন ডি শরীরের হাড় মজবুত করা থেকে প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি বেশ কার্যকর। আবার সামগ্রিক সুস্থতার জন্যেও ভিটামিন ডি অত্যন্ত উপকারী। তাই চিকিৎসকেরা ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

নানা রকম শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে ভিটামিন ডি-র অভাবে। কিছু লক্ষণ দেখে বুঝবেন শরীরে ভিটামিন ডি-র ঘাটতি রয়েছে কিনা…

গাঁটে ব্যথা:-

গাঁটে গাঁটে যন্ত্রণা বাড়ে শরীরে ভিটামিন ডি-র ঘাটতি হলে। যাদের সারা ক্ষণ গায়ে হাত-পা ব্যথা, পিঠে ব্যথা, কোমর ব্যথায় ভুগলে তা শরীরে ভিটামিন ডি-র অভাবের ইঙ্গিত হতে পারে।

মানসিক অবসাদ:-

মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ দেখা দিতে পারে, শরীরে ভিটামিন ডি-র অভাবে। আবার তা থেকে ঘন ঘন মেজাজ বিগড়ে যেতে পারে। কিন্তু যাহারা স্বাস্থ্যকর খাবার খান, ভাল ভাবে বিশ্রাম নিয়েও যদি আলস্য কাটতে না চায় বা ক্লান্ত বোধ করেন, তবে এটি ভিটামিন ডি-র অভাবের কারণে হতেই পারে।

খিদে কমে যাওয়া:-

খিদে কমে যাওয়াও হতে পারে ভিটামিন ডি ঘাটতির লক্ষণ। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখবেন বলে খাওয়া কমিয়ে দেওয়া অন্য বিষয়, কিন্তু খিদে পেলেও খেতে ইচ্ছে না করা মোটেই ঠিক বিষয় নয়। তাই, খিদে কমে গেলে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখুন।

আরও পড়ুন: মানবদেহে কোলেস্টেরলের ভূমিকা কী

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে:-

এই ভিটামিন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। ভিটামিন ডি শরীরকে বিভিন্ন ভাইরাস এবং ব্যাক্টেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। এই উপসর্গগুলি শরীরে ভিটামিন ডি-র ঘাটতির লক্ষণ হতে পারে যেমন: ঘন ঘন ভাইরাল জ্বর, সর্দি-কাশিতে ভুগছেন ।

চুল পড়া:-

কমবেশি অনেকেরই চুল ঝরার সমস্যা থাকে। আপনার চুল ঝরার পরিমাণ যদি অত্যধিক হারে বেড়ে যায়, তা হলে কিন্তু নজর দেওয়া প্রয়োজন। তবে শরীরে ভিটামিন ডি অত্যধিক পরিমাণে কমে গেলে এমন সমস্যা হতে পারে।