চায়ের পুষ্টিগুণ বাড়িয়ে তুলতে

আবহাওয়ার পরিবর্তনে সামান্য ঠান্ডা লাগা, জ্বর, সর্দি, কাশি তো নিত্যদিন লেগেই রয়েছে। ইদানীং ভাইরাস বা ব্যাক্টেরিয়া ঘটিত রোগর প্রভাব বাড়ছে। এদের সঙ্গে লড়াই করতে গেলে মুঠো মুঠো ওষুধ খেলেই হবে না। বাড়িয়ে তুলতে হবে শরীরের নিজস্ব রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। দিনের শুরুটা যদি ভিটামিনের ডোজ় দিয়ে হয়, তবে মন্দ কি। সকালে চায়ে সঙ্গে কয়েকটি উপকরণ মেশালেই তা প্রয়োজনীয় ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ করতে পারে।

# দারচিনি:- চায়ের মধ্যে একচিমটে দারচিনির গুঁড়ো দিলে তা স্বাদে-গন্ধেও হয়ে ওঠে অতুলনীয়। ভিটামিন কে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। দারচিনিতে রয়েছে ভিটামিন বি এবং ভিটামিন কে। ভিটামিন বি শরীরে স্নায়ুর কার্যকারিতা ভাল রাখতে ও পেশির গঠন মজবুত করতে এবং শারীরবৃত্তীয় নানা কাজে সাহায়তা করে।

# লেবুর রস:- লেবুর রসে যথেষ্ট পরিমাণ ভিটামিন সি রয়েছে। বিপাকহার বাড়িয়ে তোলার পাশাপাশি সংক্রমণজনিত সর্দি-কাশির হাত থেকেও আরাম দিতে পারে লেবু-চা। তাই দুধ এবং চিনি ছাড়া লিকার চায়ে লেবুর রস দিয়ে খাওয়াই দস্তুর।

# তেজপাতা:- তেজপাতার গন্ধে মন একেবারে তরতাজা হয়ে ওঠে এবং চায়ের পুষ্টিগুণও বেড়ে যায় অনেকখানি। ভিটামিন এ, ভিটামিন সি এবং ভিটামিন বি৬ রয়েছেতেজপাতায়।

# আদা:- আদার গন্ধে যে শুধু চায়ের স্বাদ বৃদ্ধি পায় তা নয় সঙ্গে চায়ের পুষ্টিগুণও বেড়ে দেয়। সর্দি-কাশি বা গলা ব্যথা হলে চায়ে আদা দিয়ে খেয়ে থাকেন অনেকেই। আদাতেও রয়েছে ভিটামিন সি শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে ভিটামিন সি যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।

ক্যালশিয়াম বেশি পাবেন যে খাবারে

# লবঙ্গ:- লবঙ্গের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান প্রদাহ কমায়। সর্দি, কাশিতেও আরাম দেয়। এই মশলাতেও ভিটামিন সি-এর পরিমাণ অনেকটাই বেশি। চায়ের পুষ্টিগুণ এক ধাক্কায় অনেকটা বাড়িয়ে তুলতে পারে লবঙ্গ। যে পরিমাণ ম্যাঙ্গানিজ় থাকে লবঙ্গে তা মস্তিষ্কের স্নায়ুর কাজকর্ম পরিচালনা করার জন্য প্রয়োজনীয়।

# গোলমরিচ:- আয়রন, ক্যালশিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, জিঙ্কের মতো খনিজ রয়েছে গোলমরিচে। ঠান্ডা লাগার হাত থেকে রক্ষা পেতে চায়ে গোলমরিচ দিয়ে খাওয়ার চল বহু পুরনো। গোলমরিচের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন কে, এ, সি এবং বি। এক কাপ গোলমরিচ দেওয়া চা যেমন রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে, তেমনই বিপাকহার উন্নত করতেও এর কার্যকারীতা অনেক।

# হলুদ:- হলুদের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান সংক্রমণজনিত রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে। এক চিমটে হলুদ দুধ কিংবা চায়ে মিশিয়ে খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। কারণ, হলুদে রয়েছে ভিটামিন বি এবং সি।